রাজত্বের ইতিহাস লিখিয়া গিয়াছেন, তাঁহাদের কোন গ্রন্থেই গুল্বদনের ‘হুমায়ুন্-নামা’র উল্লেখ নাই। ‘আইন্-ই-আক্বরী’তেও ব্লক্মান্ সাহেব এই পুস্তক সম্বন্ধে নীরব, মোগল ইতিহাসের এই অমূল্য উপাদান অবগত থাকিলে গুল্বদন্কে তিনি এক স্থলে ভ্রমক্রমে ‘আক্বরের বেগম’ বলিয়া অনুমান করিতেন না![১]
ব্রিটিশ মিউজিয়মে রক্ষিত, ‘হুমায়ুন্-নামা’র পুঁথিখানি ১৮৬৮ খ্রীষ্টাব্দে কর্ণেল জর্জ্জ উইলিয়ম্ হ্যামিল্টনের বিধবার নিকট হইতে ক্রয় করা হইয়াছিল। এই মহামূল্য গ্রন্থখানির ইংরেজী অনুবাদ প্রকাশ করিয়া বিদুষী বেভারিজ-পত্নী আমাদের ধন্যবাদার্হ হইয়াছেন।
গুল্বদন্ লিখিয়াছেন, “সম্রাট্ আক্বর আদেশ প্রচার করেন, বাবর ও হুমায়ূনের বিষয় যাহা জান, লিপিবদ্ধ কর।” এই রাজ-অনুজ্ঞায় গুল্বদন্ ‘হুমায়ুন্-নামা’ রচনা করিয়াছিলেন। ‘আক্বর-নামা’ রচনার পূর্ব্বে ঐ গ্রন্থের উপাদান-সংগ্রহ সম্বন্ধে আকবর কর্ত্তৃক যে আদেশ-প্রচারের[২] কথা আবুল্-ফজল্ লিপিবদ্ধ করিয়াছেন, এবং যে আদেশের ফলে হুমায়ুনের পানপাত্রবাহক জৌহর ও আক্বরের ‘বকাওল্বেগী’ (রন্ধনশালার পরিদর্শক) বায়াজীদ্