অন্যান্য কয়েকটি পরিবারের সঠিক বৃত্তান্ত আমাদের অজ্ঞাত থাকিত।
হুমায়ুন-নামাই গুল্বদনের একমাত্র কীর্ত্তি নহে; তৎকালপ্রচলিত রীতি অনুসারে বহু ফার্সী কবিতার রচয়িত্রী বলিয়াও তিনি জনসমাজে সুপ্রতিষ্ঠিতা। মীর্ মহ্দী শীরাজী ‘তাজ্কিবতুল্ খওয়াতীনে’ তাঁহার কোন কবিতার এই দুইটি চরণ উদ্ধৃত করিয়াছেন:—
“হর্ পর কে উ বা-আশিক্-ই-খুঁদ ইযার নীস্ত।
তূ ইয়াকীন্ মীদান্ কে হেচ্, অজ্ উমর্ বর্-খুরদার্ নীস্ত।”
—নিজ প্রেমিকের প্রতি বিমুখ প্রত্যেক পরী! নিশ্চয় জানিও যে, কেহই জীবন-রূপ ফল পূর্ণরূপে আস্বাদন করে না। অর্থাৎ জীবন নশ্বর, তাহার মধ্যেই যতটুকু পার সুখ ভোগ করিয়া লও।
গুল্বদনের অধ্যয়ন-স্পৃহা অসামান্য ছিল। এই বিদুষী রমণী একটি পুস্তকাগার প্রতিষ্ঠিত করেন এবং তজ্জন্য তিনি নানা স্থান হইতে বহু পুস্তক সংগ্রহ করিয়াছিলেন।
বাবর ও হুমায়ুনের পরবর্ত্তী রাজত্বকালে রাজঅন্তঃপুরবাসিনীগণকে নিয়মিত শিক্ষাদানের সুবন্দোবস্ত প্রথম আমাদের দৃষ্টি-