দিয়া, বন্দী পিতার আমরণ সেবা করিয়া, ত্যাগের যে চরম দৃষ্টান্ত দেখাইয়াছেন, তাহাতে মনে হয়, তিনি গ্রীসরাজ-দুহিতা, পিতৃসেবিকা এণ্টিগনীর সহিত একাসন পাইবার সম্পূর্ণ যোগ্য। বিখ্যাত ফরাসী কবি লেকঁৎ দ্যলিলে তাঁহার বিষয়ে ‘হিন্দু এণ্টিগনী’ নামক এক প্রশংসাপূর্ণ কবিতা লিখিয়া গিয়াছেন।
পুরাতন দিল্লীর পথে শেখ নিজাম্-উদ্দীন্ আউলিয়ার যে বিশাল সমাধি ভবন আছে, তাহার ভিতরে প্রাচীরবেষ্টিত এক স্বল্পায়তন স্থানে জহান্-আরা সমাহিতা। তিনি জীবদ্দশায় স্বয়ং এই সমাধি নির্ম্মাণ করাইয়াছিলেন। এই সমাধিভূমিতে শ্যাম-তৃণাস্তরণতলে নিরভিমানিনী জহান্-আরা অনন্ত-নিদ্রায় শায়িতা। কবরশীর্ষে শ্বেত মর্ম্মর-প্রস্তরে যে কবিতাটি খোদিত আছে, তাহা তাঁহার মৃত্যুর অব্যবহিত পূর্ব্বে রচিত:—
“হু—আল্ হাই—আল্ কিউম্
বঘাএর্ সব্জা ন পোশদ্ কসে মজার্-ই-মবা
কে কব্রপোষ্-ই-ঘরিবান্ হামীঁ গিয়া বস্ অস্ত্।
আল্-ফকীরা আল্-ফানীয়া জহান্-আরা
মুরীদ্-ই-খ্বাজ্ গান্ ই-চিশ্ত বিন্ত্-ই-শাহ্জহান্
বাদ্শাহ্ ঘাজী আনারুল্লা বুর্হানুহু সনে ১০৯২।”
—তিনিই জীবন্ত—আত্মসত্ত্ব। (কোরাণ তৃতীয় অধ্যায়) আমার সমাধি তৃণ ভিন্ন কোন [বহুমূল্য] আবরণে আবৃত