উল্লেখযোগ্য। সাহিত্যচর্চ্চার সুবিধার জন্য, সফী-উদ্দীন্ জেব্-উন্নিসার অর্থে আরামে কাশ্মীর বাস করিতেন। তিনি ‘জেব-উৎ-তফাসির’ নাম দিয়া কোরাণের আর্বী মহাভাষ্য ফার্সীতে অনুবাদ করেন। সফী-উদ্দীন্ গ্রন্থখানি জেব্-উন্নিসার নামে প্রচার করিয়াছিলেন। এইরূপ আরও কয়েকখানি গ্রন্থ জেবের নামে প্রচলিত; কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তিনি নিজে ঐ সকল গ্রন্থ রচনা করেন নাই। লেখকগণ কৃতজ্ঞতা-প্রকাশের জন্য তাঁহার নাম ঐ সকল গ্রন্থে নিবদ্ধ করিয়াছিলেন।
সম্রাট্ আওরংজীব কবিতার পক্ষপাতী ছিলেন না। কবিদিগকে তিনি মিথ্যাবাদী চাটুকার, এবং তাহাদের রচনাকে জলবুদ্বুদের মত ব্যর্থ বলিয়া ঘৃণা প্রকাশ করিতেন। কোন কবিই তাঁহার দরবারে রাজ-অনুগ্রহ লাভ করিতে পারেন নাই। কিন্তু করুণারূপিণী জেবের করুণা হইতে যে তাঁহারা বঞ্চিত হ’ন নাই, তাহা বলা বাহুল্য। কন্যার করুণার ফল্গুধারা, আওরংজীবের আমলের সাহিত্যকে এইরূপে সঞ্জীবিত রাখিয়াছিল।
‘দেওয়ান্-ই-মখ্ফী’তে তাঁহার রচিত অনেক কবিতা স্থান পাইয়াছে সত্য, কিন্তু সে কোন মখ্ফী? তৎকালে যে-সকল কবি গুপ্তভাবে কবিতা রচনা ও প্রচার করিতেন, ফার্সীতে তাঁহাদের ছদ্মনাম ‘মখ্ফী’। ফার্সী ভাষায় মখ্ফী এক নহে— বহু। বাদশাহ্জাদীর হৃদয়ের নির্ম্মল ভাবধারা কোন্ মখ্ফীর