এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
শেষ কথা
মোগলের কথা ছাড়িয়া দিলেও, তাঁহদের পূর্ব্ববর্ত্তী মুসলমান যুগেও যে স্ত্রীশিক্ষার প্রচলন ছিল, ইতিহাস তাহার সুস্পষ্ট আভাস প্রদান করে। ত্রয়োদশ শতাব্দীর ইতিবৃত্ত-পটে দুই জন বিদুষী রমণীর আলেখ্য অতি উজ্জ্বল বর্ণে চিত্রিত।
সুলতান্ আল্তামাশের অযোগ্য পুত্রগণের ব্যসন-স্রোতে যখন দিল্লীর সিংহাসন ভাসমান, সেই সময় ধূল্যবলুণ্ঠিত রাজদণ্ড এই বহু রাজগুণসম্পন্না বীর্য্যবতী রাজকন্যার করে ন্যস্ত রাজ্ঞী রাজিয়া হইয়াছিল। বিদুষী রাজিয়ার কোরাণে বিশেষ ব্যুৎপত্তি ছিল;—তিনি এই ধর্ম্মগ্রন্থ বিশুদ্ধ উচ্চারণের সহিত পাঠ করিতে পারিতেন।[১] আওরংজীব-দুহিতা জেব্-উন্নিসার ন্যায় ইনিও সাহিত্য ও সাহিত্যিকগণের উৎসাহদাত্রী ছিলেন।[২] কি প্রজাপালনে, কি রণাঙ্গনে সৈন্য-পরিচালনে, এই ন্যায়পরায়ণা বীরাঙ্গনার তুল্যপারদর্শিতা ছিল। এই প্রজাপ্রিয় বিচক্ষণ সুল্তানা সম্বন্ধে এক জন
৩৪