ঐতিহাসিক লিখিয়াছেন, “রাজিয়ার একমাত্র অপরাধ যে তিনি স্ত্রীলোক! যাঁহারা তন্নতন্ন করিয়াও তাঁহার চরিত্র আলোচনা করিবেন, তাঁহারাও তাঁহার দোষের সন্ধান পাইবেন না।” (Ferishta, i. 217-18.)
মাহ্ মালিক্—আলা-উদ্দীন জহান্সোজের দৌহিত্রী; ডাকনাম—জলাল্-উদ্-দুনিয়াও-উদ্দীন্। বিদুষী বলিয়া ইঁহার খ্যাতি ছিল।
মাহ মালিক‘তবকাৎ-ই-নাসিরী’-প্রণেতা মিন্হাজ্ এক প্রকার তাঁহারই যত্ন ও অনুগ্রহে লালিত ও বর্দ্ধিত হইয়াছিলেন। মিন্হাজ্ তাঁহার গ্রন্থে বেগমের উচ্চপ্রশংসা করিয়া লিখিয়াছেন, মাহ্ মালিকের হস্তাক্ষর রাজঅঙ্গশোভী মুক্তার ন্যায় শ্রীসম্পন্ন ছিল।[১]
পঞ্চদশ শতাব্দীর ইতিহাসেও স্ত্রীশিক্ষার নিদর্শন বিদ্যমান। ফিরিশ্তা লিখিয়াছেন, মালবাধিপতি সুলতান্ ঘিয়াস্-উদ্দীনের হারেমে পঞ্চদশ সহস্র মহিলা ছিলেন, তাঁহাদের মধ্যে বহু শিক্ষয়িত্রী, প্রার্থনা-পাঠকারিণী প্রভৃতিরও অসদ্ভাব ছিল না।[২]