পাতা:মোছলেম জগতের ইতিহাস.pdf/১০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b"R মোছলেম জগতের ইতিহাস । বিধৰ্ম্মীর বক্ষে যতদূর অসি চালনা করা যাইতে পারে, ততদূর উহা চালনা করিতে হইবে।” এস্থলে থাজে মইনউদ্দিন চিশতির (রহমত উঃ ) নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তিনি লক্ষ লক্ষ লোককে বিনা উপদ্রবে ইসলাম ধৰ্ম্মে দীক্ষিত করিয়াছিলেন। ইছলাম প্রচারের জন্য কোন নির্দিষ্ট বা বিশেষ শ্রেণী নাই। ইহার অখণ্ডনীয় যুক্তি, সরলতা, সাম্যভাব ও ভ্রাতৃত্ববন্ধন সমগ্র জগতে ঘোর পরিবর্তন আনয়ন করিতে সমর্থ হইয়াছে। চতুর্দিকে মোছলেম সৈন্যদিগকে জয় লাভ করিতে দেখিয়া মদিনার পাশ্ববৰ্ত্তী জাতি সকল স্বতঃই ইছলাম গ্রহণ করিয়াছিল। অর্ণ হজরতের ভদ্রতা, নিৰ্য্যাতিত জাতিদিগের প্রতি সহানুভূতি ও ন্যায়বিচারে তাহার প্রচেষ্টা সৰ্ব্বত্র খ্যাতি লাভ করিয়াছিল। যে সমস্ত লোক ইছলাম গ্রহণ করিয়াছিল, তাহারা স্ব স্ব বিবাদ বিসংবাদ ভুলিয়া নূতন জাতি গঠনে সমর্থ হইয়াছিল। ইছলাম শক্ৰহস্ত হইতে বিপন্নদিগকে পরিত্রাণ করিয়া লইয়াছিল । ইছলাম কেবল আরব জাতির কুসংস্কার দূর করিয়া ক্ষান্ত হয় নাই। তাহাদিগের মধ্যে এক নব উদ্দীপনা শক্তির উন্মেষ করিয়া দিয়াছিল। ইসলাম প্রথম যুগে যেরূপ ভ্রাতৃত্ব সংস্থাপনে সহায়তা করিয়াছিল, বৰ্ত্তমান যুগেও ইছলামে সেই উদ্দেশু ও শক্তি অক্ষুণ্ণ রহিয়াছে। * . r" ইছলামের উদারতা সৰ্ব্ববাদিসম্মত । আরব শাসনের প্রথম শতাব্দীতে খৃষ্টীয় ভজনালয়সমূহ যেরূপ স্বাধীনতা লাভ করিয়াছিল, রোমক শাসন কালেও কোন জাতি তাহা প্রাপ্ত হয় নাই। হজরত মহম্মদ (দ: ) বলিয়াছেন, “যে ব্যক্তি র্তাহার (ফরমানের ) অঙ্গীকার পালনে কার্পণ্য করে এবং বিধৰ্ম্মীর প্রতি সাধ্যাতীত ভার প্রদান করে, আমি তাহার অভিযোক্ত হইব। যে ভিন্ন ধৰ্ম্মীর প্রতি অত্যাচার করে, সে আমার প্রতি অত্যাচার করে।” 지 খলিফা ওমর জোরাষ্ট্রীয়গণকে ধৰ্ম্ম সম্বন্ধীয় স্বাধীনতা প্রদান করেন।