পাতা:মোছলেম জগতের ইতিহাস.pdf/১০৬

brゲ মোছলেম জগতের ইতিহাস । পাইবেন, কোন জাতি ধৰ্ম্মযুদ্ধের নামে অসি প্রয়োগ ও উন্নতির উচ্ছেদ সাধনে তৎপর হইয়াছিল। বহু য়ুরোপীয় ঐতিহাসিক এক বাক্যে ছালাহ, উদিনের মহত্ব ও শৌর্যবীর্যের প্রশংসা কীৰ্ত্তন এবং জাৰ্ম্মান ও ফরাসীদিগের দুরাচারের কাহিনী মুক্তকণ্ঠে স্বীকার করিতে কুষ্ঠিত হন নাই । তল,ছেড –১০৯৬—১২৯১ খৃঃ অঃ—যখন মোছলেমগণ চীন হইতে বসফরাস পর্যন্ত সমগ্র এসিয়া অধিকার কম্নিয়াছিল, তখন যুরোপবাসিগণ মনে করিয়াছিল যে, উচ্চার বসফরাস অতিক্রম করিয়া সমগ্র যুরোপ করায়ন্ত করিবে। স্পেন ও ছিছিলিতে মূৰ্বদিগের বিজয় ঢঙ্ক এই বিশ্বাসকে দৃঢ়ীভূত করিয়াছিল। মোছলেমদিগের ক্ষমতা সীমাবদ্ধ করাই সমগ্ৰ য়ুরোপের একমাত্র লক্ষ্য স্থির হইল। মোছলেমদিগকে বাধা দিবার জন্য যুরোপীয় যুদ্ধের অবতারণা করা হইয়াছিল। যে মহাযুদ্ধে কাইছরের বিরুদ্ধে বিংশ শতাব্দীতে সমগ্র পৃথিবীর খৃষ্টান রাজন্তবর্গ যোগদান করিয়াছিল, সেই মহাযুদ্ধ ইতেও ইঙ্গ অতি ভীতিপ্রদ ও লোমহর্ষক । এই ভীষণ সংগ্রাম প্রায় দুই শত বৎসর কাল স্থায়ী ছিল। ইহা খৃষ্টীয় ধৰ্ম্মোন্মত্ততাব প্রকৃষ্ট পরিচায়ক । দুষ্কৃতির প্রধান দৃষ্টান্ত, ধৰ্ম্ম-বিদ্বেণ ও অনুদারতার বিকট छवि এবং জাগতিক ইতিগসের একটা মঙ্গ কলঙ্ক। পৃথিবীতে ইঙ্গর দ্বিতীয় দৃষ্টান্ত নাই। নেবুকাডনেজার আদিম অধিবাসিগণের উপর যে অত্যাচার করিয়াছিলেন, মেছরিধিপতি ফেরাউন ইহুদী প্রজাদিগের (ইস্রাইলিদিগের) উপর ঘে কঠোর আজ্ঞা প্রদান করিয়াছিলেন, চেঙ্গিস খান দেশের পর দেশ উৎসন্ন করিয়া যেরূপ কলঙ্কিত হইয়াছিলেন, হালাকু বাগদাদ বিধ্বস্ত করিয়া যে অখ্যাতি অর্জন করিয়াছিলেন, তৎসমুদয় অপেক্ষা মধ্যযুগের সমগ্র যুরোপীয় জাতিগণের ধৰ্ম্মের নামে ক্রছেড যুদ্ধের কলঙ্কের পরিধি অনেক বৃহত্তর। রাইট অনারেবল সৈয়দ আমির