পাতা:মোছলেম জগতের ইতিহাস.pdf/১৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* २२ মোছলেম জগতের ইতিহাস । তিনি মুচিন্তা ও বৈরাগ্যের জন্য এরূপ প্রসিদ্ধি লাভ করিয়াছিলেন যে, সম্রাটগণ এমন কি, নৃশংস তায়মুরও তদীয় আশীৰ্ব্বাদ ভিখারী হইয়া তাহার দরবারে উপস্থিত হইয়াছিলেন। এই বংশের পঞ্চম বংশধর ছোলতান হায়দরই সৰ্ব্ব প্রথম পার্থিব ক্ষম হার অধিকারী হন। হায়দরের তৃতীয় পুত্র ইছমাইল আজারবাইজান, এরাক প্রভৃতি স্থান অধিকার করিয়াছিলেন এবং চারি বৎসর মধ্যে সমস্ত পারস্য র্তাহার বশীভূত হইয়াছিল। এই সময়ে পারস্য পুনরায় স্বাধীন রাজ্যে পরিণত হয়। তিনি শিয়া ধৰ্ম্মাবলম্বী ছিলেন। ১৫ বৎসর মধ্যে উজবেগগণ খোরাছান হইতে বিতাড়িত হয় ; তাহাদের নৃপতি সাহেবানী খাঁ নিহত হন। বল্খ র্তাহার বশীভূত হয়। তৎপরে রাজ্যপিপাসু ওছমানীয় ছোলতান ছেলিম কনষ্টান্টিনোপল হইতে পারগু ক্ষমতা ধ্বংস করিতে উপস্থিত হন। ১৫১৪ খৃঃ অব্দে উভয় পক্ষের সৈন্ত্যগণ আজারবাইজান সীমান্তে উপস্থিত হয়। ইছমাইল যুদ্ধে অতি সাহসিকতা প্রদর্শনেল পুর পরাস্ত হন। ছেলিম কিছুকাল তাব্রিজে অবস্থান করিয়া তুরস্কে প্রত্যাবর্তন করেন । ছেলিমের মৃত্যুর পর ইছমাইল জর্জিয় অধিকার করিয়া লন। তৎপুরে ১৫২৫ খৃঃ অন্ধে তিনি আরদেবিল নগরে মৃত্যুমুখে পতিত হন। পারসিকগণ র্তাহাকে পরস্ত সাম্রাজ্যের উদ্ধারকর্তা বলিয়া মনে করেন। তদীয় পুত্র তামাম্প পিতৃসিংহাসনে আরোহণ করিয়া দার্ঘকাল যাবৎ অতি মুখ্যাতির সহিত রাজকাৰ্য্য পরিচালনা করেন। তাহার রাজত্বের পূর্বভাগ উজবেগগণ এবং পশ্চিম ভাগ অটোমানগণ আক্রমণ করে ; কিন্তু তাহার ১৫২৭ খৃষ্টাব্দে পরাজিত হয়। শাহ তামাম্পের রাজত্বকালে তদীয় দরবারে সাম্রাজ্ঞী এলিজাবেথ প্রেরিত দূত উপস্থিত হইয়াছিলেন। সম্রাট হুমায়ুন ভারতবর্ষ হইতে বিতাড়িত হইয়া সম্রাটু-তামাস্পের আশ্রয় গ্রহণ করিয়াছিলেন এবং তাহারই সাহায্যে সিংহাসন পুনরধিকার করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন। শাহ তামাস্প