পাতা:মোছলেম জগতের ইতিহাস.pdf/১৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মোছলেম জগতের ইতিহাস । 為S)) এবং আগা মহম্মদের কর্তৃত্বে একদল সৈন্ত আটকে সিন্ধু নদীর উপর সেতু নিৰ্ম্মাণ করিতে প্রেরণ করেন। তৎপরে লাহোরে উপস্থিত হইয়া নাদেরের সৈন্তাগণ ভারত সৈন্তকে পরাস্ত করিলে - লাহোরের শাসনকর্তা নাদেরের আশ্রয় প্রার্থী হন। অতঃপর নাদের লাহোর হইতে কর্ণেল অভিমুখে যাত্রা করেন। তথায় যে যুদ্ধ সংঘটিত হয়, তাহাতে ভারতীয় সৈন্য পরাজিত হয়। তৎপরে নাদের দিল্লীতে উপস্থিত হন। সম্রাট মোহাম্মদ শাহ নাদের শাহকে বাধা দিবার জন্য প্রস্তুত হইলেন। ছৈয়দ নেয়াজ খান তাহার অনুচরবর্গ সহ কতিপয় পারশিক অশ্বারোহী নিহত করিয়া চতুর্দিকে রটনা করিলেন যে, নাদের শাহ নিহত হইয়াছেন। যখন চতুর্দিকে এইরূপ মিথ্যা সংবাদ ঘোষিত হইল, তখন নাদের শাহ প্রকৃত অবস্থা অনুসন্ধান করিবার জন্য জনৈক সেনাপতিকে প্রেরণ করিলেন । তিনি শক্ৰগণ কর্তৃক পথি মধ্যে নিহত হইলেন । পুনরায় আর এক ব্যক্তি প্রেরিত হইল, তিনিও মোগল সৈন্তগণের হস্তে নিহত হন । ইহাতে নাদের অত্যন্ত রোষান্বিত হইয়া স্বীয় সৈন্যগণকে আক্রমণ জন্ত ইঙ্গিত করিলেন। উহার ফলে লুটুতরাজ আরম্ভ হইল। বহুলোক নিহত, আহত ও বন্দীকৃত হইল। প্রাতঃকাল ৯টা হইতে বৈকাল ২টা পৰ্য্যন্ত হত্যাকাণ্ড অপ্রতিহত রহিল। তৎপরে মোহাম্মদ শ্লাহ নিজাম উজির ও অন্তান্ত পদস্থ কৰ্ম্মচারিদিগকে ক্ষমা প্রার্থনার জন্ত নাদের শাহের নিকট প্রেরণ করিলেন। নাদের উহাদের প্রার্থন। শ্রবণমাত্রই তাহার সৈনিকদিগকে হত্য হইতে বিরত থাকিতে আদেশ দিলেন। কথিত আছে, এই ঘটনায় ৮০০০ লোক নিহত হইয়াছিল। সে সমস্ত লোক বন্দীকৃত হইয়াছিল, নাদের তাহাদিগকে মুক্তি প্রদান করিবার আদেশ প্রদান করিলেন। তৎপরে নাদের শাহ দিল্লীতে একটা বিরাট দরবুরের আয়োজন করেন। উহাতে সম্রাট ও উচ্চপদস্থ ব্যক্তিগণ আহত হন। নাদের শাহ উক্ত