পাতা:মোছলেম জগতের ইতিহাস.pdf/১৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মোছলেম জগতের ইতিহাস। ΣΟΦΟΣ হলে তৎপুত্র নাছরুদ্দীন শাহ সিংহাসনে অধিরূঢ় হন। তিনি রাজ্যের শ্ৰীবৃদ্ধির জন্ত বিশেষ চেষ্টা করিতেন। র্তাহার সময়ে রুশিয়া বিশেষ কৃতকাৰ্য্যতা লাভ করিতে পারেন নাই । কারণ তিনি গ্রেটব্রিটনের সহিত সখ্যস্থত্রে আবদ্ধ ছিলেন । শাহ নছিকুদ্দীনের পুত্র মোজাফফর উদ্দীন ১৮৯৬ খৃষ্টাব্দে পিতৃসিংহাসনে আরোহণ করেন। ১৯০৭ খৃষ্ট্রাব্দে তিনি পারস্তের জাতীয় সমিতি (মজলেছ) গঠন করিতে বাধ্য হন। এই বৎসর তাহার মৃত্যু হইলে মোহাম্মদ আলী মির্জা পারস্তের সম্রাটু পদে অভিষিক্ত হন। তিনি ১৯০৯ খৃষ্টাক্ট পৰ্য্যন্ত রাজত্ব করেন। এই বৎসর জুলাই মাসে জাতীয় সমিতির অনুজ্ঞাক্ৰমে তিনি সিংহাসন ত্যাগ করিতে বাধ্য হন এবং তৎপুত্র আহমদ মির্জা মজলেছ কর্তৃক “শাহ” বলিয়া ঘোষিত হন। পারগু রাজগণ শাহেনশাহ নামে অভিহিত হইয়া থাকেন। স্বীয় রাজ্য মধ্যে শাহের আদেশ অপ্রতিহত । সমগ্র রাজস্ব র্তাহারই করায়ত্ত । পারস্তের শাসন প্রণালী তুরষ্কের শাসন প্রণালী সদৃশ। কোরআন মজিদের উপরই সমগ্র আইন প্রতিষ্ঠিত । • শাহের ক্ষমতা অব্যাহত হইলেও তিনি যথেচ্ছ তাহ প্রয়োগ করিতে পারেন না। র্তাহার আদেশ আঙ্গি কোরআন, হাদিছ ও তফছিরের বিরুদ্ধ না হয়, তবেই তিনি স্বীয় প্রভুত্ব পরিচালন করিতে পারেন। তিনি আপনাকে হজরতের প্রতিনিধি মনে করেন। র্তাহার শাসনকাৰ্য্য মন্ত্রীসভার সাহায্যে পরিচালিত হয়। পূৰ্ব্বে মাত্র উজির ও কোষাধ্যক্ষ দ্বারাই এই কাৰ্য্য পরিচালিত হইত, কিন্তু অধুনা ইউরোপের অনুকরণে ভিন্ন ভিন্ন শাসন বিভাগ স্বষ্টি হইয়াছে। বৈদেশিক, আন্তর্জাতিক, বিচার, বাণিজ্য, শিক্ষা, কৃষি, ডাক, তার, পাবলিক ওঁয়ার্কস ইত্যাদি ২০টী বিভাগ আছে। এই সকল বিভাগের জন্য ভিন্ন ভিন্ন মন্ত্রী নির্দিষ্ট আছেন। সুমগ্র দেশ ৩৩টা প্রদেশে বিভক্ত। প্রত্যেকটর জন্ত স্বতন্ত্র, শাসনকৰ্ত্ত নিযুক্ত আছেন। র্তাহাk