পাতা:মোছলেম জগতের ইতিহাস.pdf/১৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মোছলেম জগতের ইতিহাস । X 6 × আঁশ্রয় গ্রহণ করেন। আরছালান সঞ্জরের ভগ্নী স্বীয় পিতার বিধবা স্ত্রীকে অপমানিত করিয়াছিলেন। তাহার ফলে ছেলছুকদিগের সহিত যে সন্ধি হইয়াছিল, তাহা ভঙ্গ হইয়া গেল ; গজনী বংশের ধ্বংসের পথও সুগম উইল। সঞ্জর আরছালানকে যুদ্ধে পরাজিত করিয়া বৈরামকে গজনীর সিংহাসন প্রদান করেন। আরছালান ধৃত ও নিহত হন । ইনি মাত্র তিন বৎসর কাল রাজত্ব করিয়াছিলেন। বৈরাম শাহ ১১১৭ খৃষ্টাব্দ হইতে ১১৫২ খৃষ্টাব্দ পর্য্যন্ত রাজত্ব করিয়াছিলেন, কিন্তু বাস্তবিক সঙ্গরই গজনী রাজ্য পরিচালন করিতেন। কালক্রমে গোর দলপতিগণ বলশালী হতীয় উঠেন এবং গজনীর স্বাধীনতা বিনষ্ট হয়। বৈরাম স্বীয় জামাতা গোরেশ্বর কুতব উদ্দীনের বধ সাধন করায় তদীয় ভ্রাতা প্রধান মালিক গইফুদিন ভ্রাতৃহত্যার প্রতিশোধ গ্রহণ মানসে গজনী আক্রমণ করিয়া বৈরামকে বিতাড়িত করেন। এই সময়ে গোরীগণও বিদ্রোহী হইয় উঠেন। তাহাতে গজনী বিধবস্ত এবং কান্দাহার রাজধানী বলিয়া পরিগণিত হয় ; কিন্তু প্রজাপুঞ্জ ছাইফুদিনের শাসনে অশান্তিতে কাল কাটাইতেছিল। তাহারা পলায়িত বৈরামকে আহবান করিলে বৈরাম অতি নৃশংস ভাবে ছাইফুদিনের হত্য সাধন করেন। ইহাতে ছাইফুদিনের ভ্রাতা আলাউদ্দিন ক্রোধান্বিত হইয়া তুমুল সংগ্রামের পর গজনী অধিকার করিয়া লন। বৈরাম জীবন লইয়া ভারতবর্ষে পলায়ন করেন। আলাউদ্দীনের আদেশে গজনী নগর অগ্নি দ্বারা ভস্মীভূত এবং অধিবাসিগণের নিধন সাধিত হয়। এই কারণে আলাউদ্দীন জাহান সোজ, (বিশ্বদাই ) নামে অভিহিত হন। বৈরাম ১১৫২ খৃষ্টাব্দে পরলোক গমন করেন। বৈরামপুত্ৰ খছর শাহ লাহোরে সাত বৎসর রাজত্ব করিয়া মানবলীলা সম্বরণ করিলে তৎপুত্ৰ খছরু মালিক সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হন। তিনি গজনী বংশের শেষ ছোলতান। তিনি ১১৮৭ খৃষ্টাব্দ পর্যন্ত পাঞ্জাব প্রদেশ শাসন করিয়াছিলেন। এই সময়ে