পাতা:মোছলেম জগতের ইতিহাস.pdf/১৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'(tVు মোছলেম জগতের ইতিহাস । আক্রমণের কোনরূপ সুযোগ না দেওয়ায় সিন্ধুর অপর তীর হইতে তিনি বিদায় লইতে বাধ্য হইলেন ; আর ভারতাক্রমণ করিলেন না। র্তাহার মৃত্যুর পর মোগলগণ বারংবার ভারতবর্ষের উত্তর পশ্চিম প্রান্ত আক্রমণ করে। তাহারা তখন পর্য্যন্ত ইছলাম ধৰ্ম্ম গ্রহণ করে নাই । ১২২৫ খৃষ্টাব্দে আল তামাস বিহার ও বঙ্গদেশ আক্রমণ করিয়া বখতিবার খিলজির পুত্র গিয়াছুদিনকে নিয়মিত করদানে বাধ্য করেন এবং স্বীয় পুত্র মাছিরুদিনকে বিহারের শাসনকৰ্ত্ত নিযুক্ত করিয়া দিল্লীত্বে প্রত্যাগমন করেন। ১২৩১ খৃষ্টাব্দে আল তামাস গোয়ালিয়র অধিকার করিয়াছিলেন। তৎপরে মালবদেশে যাত্রা করিয়া তিনি উজ্জয়িনী অধিকার করেন এবং পরে ডুত হইয়া রাজধানীতে প্রত্যাগত হন । আল তামাস সুদীর্ঘ ছাবিবশ বৎসর রাজত্ব করিয়াছিলেন। প্রায় সমগ্র আর্য্যাবৰ্ত্ত র্তাহার বগুত। স্বীকার করিয়াছিল। আল তামাসই হিন্দুস্থানের সর্বপ্রথম অধীশ্বর বলিয়া বাগদাদের খলিফা কর্তৃক স্বীকৃত হন এবং স্বীয় উজিরকে নিজামুল, মুলক উপাধি প্রদান করেন। আল তামাস তিন পুত্র ও এক কস্তা রাখিয়া পরলোক গমন করিয়াছিলেন। তাহার মৃত্যুর পর তদীয় জ্যেষ্ঠ পুত্র রূকুমুদিন সিংহাসনারোহণ করেন। কিন্তু তিনি অত্যাচারী, বিলাসব্যসনাসক্ত ও অকৰ্ম্মণ্য ছিলেন বলিয়া ওমরাহগণ র্তাহাকে হত্যা করিয়৷ তদীয় ভগ্নী রিজিয়াকে সিংহাসনে অভিষিক্ত করেন। রিজিয়া ভিন্ন অন্ত কোন রমণী দিল্লীর রাজ-সিংহাসনে অধিরোহণ করেন নাই। গভর্ণরগণ প্রথমত: রিজিয়ার অধীনতা স্বীকার করিতে চাহেন নাই কিন্তু কিয়ংকাল মধ্যে রাজ্যে শান্তি স্থাপিত হইলেই তাহারা সকলেই তাহার বগুত স্বীকার করেন। রাজকাৰ্য্যে রিজিয়ার যেমন দক্ষত ছিল, মদনুষ্ঠানেও তেমনই র্তাহার সাহস ছিল । তিনি জনৈক ক্রীতদাসকে উচ্চপদে উন্নীত করিয়া অবশেষে তাহাকে ‘আমিরুল