পাতা:মোছলেম জগতের ইতিহাস.pdf/১৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মোছলেম জগতের ইতিহাস। ᏱᏬᎼ অতিবাহিত করেন। পিয়ানো বাদনেও তিনি সিদ্ধহস্ত। বিশেষ সৌখিন হইলেও তিনি কৃষকবেশে হল চালনা করিতেও বিরত হন না। নমাজের সময় স্বয়ং ইমামতী করিয়া থাকেন। তুিনি মস্তকে আফগানী উষ্ণাষ ব্যবহার এবং মেম্বরোপরি বক্তৃতা দান কালে হস্তে তরবারি ধারণ করেন। আমীর প্রাচ্য নীতির সংস্কার করত পাশ্চাত্য নীতির সমকক্ষত সাধনে তৎপর। তিনি ইছলামের রীতিনীতি ও পদমর্য্যাদা রক্ষণ সৰ্ব্বপ্রধান কৰ্ত্তব্য বলিয়া মনে করেন। তিনি একতা, সাম্য, ভ্রাতৃভাব ও শিক্ষা বিস্তারের বিশেষ পক্ষপাতী। প্রজাদিগের জাতীয় জীবন গঠনে র্তাহার সম্পূর্ণ সহানুভূতি আছে। অনেক সময়ে তিনি আলেম ফাজেল ও পণ্ডিত মণ্ডলী কর্তৃক বেষ্টিত থাকেন। পুৰ্ব্ববৰ্ত্তী আমীরগণ বহুবিবাহে অনুরক্ত ছিলেন, কিন্তু আমানুল্লা খ একমাত্র মহিষী লইয়া সন্তুষ্ট। তিনি কাবুল ও মাজারশরিফের মধ্যে টেলিফোন স্থাপন করিয়াছেন । তিনি অনেক সময়ে ছদ্মবেশে নগর-ভ্রমণে বহির্গত হন এবং বাজারে উপস্থিত হইয়া সওদা করেন। আমীর আমানুল্লা ,অত্যন্ত পরিশ্রমী, অধ্যবসায়ী, থোশমেজাজ ও আড়ম্বরহীন। তিনি দেশীয় পোষাক ব্যবহার করেন এবং অমাত্যগণকেও ঐরূপ পোষাক ব্যবহার করিতে উৎসাহ,দেন। তিনি তুর্কি জাতির শৌৰ্য্য বীৰ্য্যের খুব প্রশংসা করেন এবং উহাদের সহিত প্রতির ভাব পোষণ করিয়া থাকেন । অত্যন্ত্রকাল মধ্যেই তিনি একজন বিচক্ষণ, রাজনীতিকুশল ও প্রজারঞ্জক নরপতি বলিয়া প্রসিদ্ধিলাভ করিয়াছেন । ইংরেজগণের সহিত আফগানদের বিগত সন্ধির ফলে আফগানিস্তান সম্পূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করিয়াছে এবং বৈদেশিক শক্তির সহিত সখ্য বা যুদ্ধ করিবার নামে এতদিন যে অন্তরায় ছিল, তাহাও দূরীভূত হইয়াছে। * *