পাতা:মোছলেম জগতের ইতিহাস.pdf/৩২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

© o R মোছলেম জগতের ইতিহাস । উদ্ধে উখিত হয়। বাণিজ্য ব্যপদেশে হিন্দুগণ মালয় দ্বীপপুঞ্জে উপস্থিত হইয়া ক্রমে উপনিবেশ স্থাপন করে। ১২৯৪ খৃষ্টাব্দে মজপহিতের রাজত্ব বিশেষ প্রসিদ্ধি লাভ করিয়াছিল । এই রাজত্ব ষোড়শ শতাব্দীর প্রথম ভাগ পৰ্য্যন্ত স্থায়ী ছিল। বালি দ্বীপে এখনও হিন্দুধৰ্ম্ম প্রচলিত আছে। যাবা দ্বীপে বৌদ্ধ ও হিন্দুধৰ্ম্ম পাশাপাশি প্রচলিত ছিল । মধ্য ষাবায়ু বৌদ্ধ মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ এখনও দৃষ্টিগোচর হয়। কথিত আছে, মজপহিতের রাজপুত্ৰগণ মোছলেম কুমারী বিবাহ করেন। যাবা দ্বীপে মোছলেম সংখ্যা তিন কোটি। এখানে তিন শ্রেণীর মোছলমান দৃষ্ট হয়, যথা –(১) যে সকল মোছলমান পশ্চিম হইতে আসিয়া উপনিবেশ স্থাপন করিয়াছে, (২) সে সমস্ত চীনবাসী উপনিবেশ স্থাপন করিয়াছে, (৩) স্থানীয় লোক যাহারা ইছলাম গ্রহণ করিয়াছে । বৰ্ত্তমান সময় এখানে ইসলামের প্রভাব খুব বেশী । ১৮৮২ খৃষ্টাব্দে বাবাতে ১০৯১২টা ইসলামী মাদ্রাস ছিল এবং উহাতে ১ লক্ষ ৬৪.হাজার ছাত্র শিক্ষালাভ করিত। ১৮৮৫ খৃষ্টাব্দে তিন বৎসর পরে মাদ্রাসার সংখ্য; বাড়িয়। ১৬৭৬০ হুইয়াছিল এবং ছাত্রসংখ্যা দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজারে পরিণত হইয়াছিল। এখানে মোছলেম পৰ্ম্ম বিস্তারের প্রধান কারণ নিম্নে প্রদত্ত হইল ঃ– ১ । ইহা সহজবোধ্য । ইছলামে দ্বৈতের ঝগড়া নাই। একমাত্র আল্লাহতালাই উপাস্ত, সুতরাং সকলই ইহা সহজে ধারণা করিতে সক্ষম হয় । I ২ । ইহা সম্পূর্ণ যুক্তিপূর্ণ। ইছলামবিধি সকলের যুক্তি মানিয়া লইতে প্রস্তুত । ইহাতে অযৌক্তিক কোন বিধি নাই। ইছলাম দর্শন দার্শনিক কূটতর্কের বহির্ভূত। সৰ্ব্বসাধারণের বিবেক ইহার তথ্য সহজে বুঝিতে সক্ষম।