পাতা:মোছলেম জগতের ইতিহাস.pdf/৩৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७> २ মোছলেম জগতের ইতিহাস । উদ্দেগু, সুতরাং এই সম্বন্ধে যদি কোন ভ্রম থাকে, পাঠকবর্গ সেই ক্রটি গ্রহণ করিবেন না। এখানে এই মাত্র বক্তব্য যে, মোছলেমগণ পৃথিবীর সৰ্ব্বাংশে ঘেরূপ বিক্ষিপ্ত, কোন জাতি কোন ধৰ্ম্ম তদ্রুপ বিস্তার লাভে সমর্থ হয় নাই। মোছলেমগণ ছয় শত বৎসর মধ্যে পুথিবীতে যে ভাবের বন্ত বহাইয়া দিয়াছিল, কোন জাতি এযাবৎ তাহা করিতে সক্ষম হয় নাই । ইছলামের সভ্যতাই ইহার একমাত্র কারণ । মোছলেম ব্যতীত কোন জাতির প্রাচীন ইতিহাস সহজলভ্য নহে। ইতিহাসই ইহার প্রধান সাক্ষী। যখন পৃথিবীর কোন জাতির ইতিহাস গঠিত হয় নাই, তখনও মোছলেমগণ শিক্ষা দীক্ষা, শিল্প বাণিজ্য, শিষ্টাচার, সভ্যতা ও সৰ্ব্বাঙ্গীন উন্নতি লাভ করিয়া অত্যন্ন কাল মধ্যে প্রাচীন ভূভাগের কেন্দ্রভূমি হইতে সৰ্ব্বত্র ব্যাপ্ত হইয়াছিল । ভারতের ইতিহাস মোছলেম , , , হ-তে আরম্ভ । মেছের, আসিরিয়া, ব্যাধিলন, চীন অতি প্রাচীন হইলেও ইহাদের পূর্ব ইতিবৃত্ত শুধু আকারে সংগৃহীত হয় নাই। সাধারণতঃ এই মাত্র অবগত হওয়া যায় যে, ইছরাইল বংশীয়দের ইতিহাস আরবদিগের সহিত জড়িত। জোরহাম ও ইছমাইল বংশ পৃথিবীর অতি প্রাচীন কালে এসিয়া মাইনরে বসবাস করিত। উহাদের পৈতৃক ইতিহাস প্রাচীন ইছরাইলী ইতিহাসের সহিত সংশ্লিষ্ট । যখন বৌদ্ধ, জৈন, জারদস্ত, ইত্যাদি ধৰ্ম্ম পৃথিবীতে প্রচারিত হয় নাই, তখনও ইছরাইলী বা প্রাচীন ইছলাম প্রবর্তিত ছিল । যখন পৃথিবীর অধিবাসিগণ কেবল মাত্র প্রাচীন ভূভাগের মধ্যভাগে সীমাবদ্ধ ছিল, তখন আরব, এসিয়া মাইনর ও মেছেরবাসীরা প্রাচীন জাতি-মধ্যে একমাত্র উল্লেখযোগ্য ছিল। দুঃখের বিষয়, মোছলেম ইতিহাস অতি প্রাচীন হইলেও এ যাবৎ লোক সমক্ষে ইহার ইতিহাস সম্যর প্রদত্ত হয় নাই। যে সমস্ত প্রাচীন গ্রন্থে ইহার উল্লেখ দেখা যায়, তাঙ্গ সহজলভ্য বা সহজবোধ্য নহে। যদি সত্যই ধৰ্ম্মের স্থায়ী