পাতা:মোছলেম জগতের ইতিহাস.pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মোছলেম জগতের ইতিহাস వా • হজরত ওমরের শাসনের দশম বর্ষে একদিন জনৈক পারগু দাস স্বীয় প্রভুর বিরুদ্ধে খলিফার নিকট অভিযোগ উপস্থিত করে। খলিফা অভিযোগ ভিত্তিহীন মনে করিয়া উহা অগ্রাহ করেন। বিচারে অসন্তুষ্ট হইয়া পাপাত্মা নামাজের সময় মছজেদে প্রবেশ করিয়া খলিফাকে আঘাত করে। তাঙ্গর ফলে ৬৪৩ খৃঃ অব্দে হজরত ওমর মৃত্যুমুখে পতিত হন। তাহার সময় মেছর, শাম, প্যালেষ্টইন, ইরাক, মেছোপোটেমিয়া ও পারস্য মোছলেমদিগের করতলগত হয়। হজরত ওমর এক দিকে নীলনদী ও অপর দিকে পরশু পর্যন্ত রাজা বিস্তার করিয়াছিলেন। তাতার সময় ইছলাম চতুর্দিকে প্রচারিত হয় । তিনি ১৪০ ০০ হাজার মছজিদ প্রতিষ্ঠিত করিয়াছিলেন। তাহার স্থাপিত দেওয়ান বা রাজস্ব বিভাগ বিশেষ উল্লেখ-যোগ্য । তিনি অবস্থা অনুসারে আনছার ওঁ মোহাজেরদিগের জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা করিয়াছিলেন। বিজিত দেশের লব্ধসামগ্রী নেতৃগণের মধ্যে বণ্টন করিয়া দেওয়া হইত। তিনি হিজরী সন প্রবর্তিত করেন। দীনাতিদীন প্রজাও র্তাহার নিকট উপস্থিত হইতে পারিত। যদিও তিনি প্রবল পরাক্রান্ত শাসনকর্তা ছিলেন, তবুও তিনি রাত্নিকালে একাকী দরিদ্র প্রজাদিগের অবস্থা অনুসন্ধান করিতে বিন্দুমাত্র ইতস্ততঃ করিতেন না। খলিফা ওমর মুনিয়ন্ত্রিত সৈনিক বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেন, তিনি কুফ, বছর, জর্ডন ও প্যালেষ্টাইন প্রদেশে স্বতন্ত্র স্বতন্ত্র সৈন্তবাহিনী গঠন করেন। এই সকল প্রদেশে সকল সমুর্থ বুক্তিকে সামরিক,কাৰ্য্যে যোগ দিতে হইত। অন্ত প্রদেশের পক্ষে দেশের অবস্থা ও ইচ্ছানুসারে সৈন্য সংগ্রহ করা হইত । J. হজরত আবুবকর কেবল মোমেনদিগের দ্বারা সৈন্তশ্রেণী গুঠন করিয়াছিলেন, কিন্তু স্বক্ষদর্শী হজরত ওমর শক্রমিত্র নির্বিশেষে সকলকে সৈনিক শ্রেণীতে গ্ৰহণ ক্লরিতেন । {}} . এই সময় উক্ষ্মীয়া বংশীয়গণ মদিনায় শক্তিশালী হইয় উঠতেছিল।