পাতা:মোছলেম জগতের ইতিহাস.pdf/৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१२ মোছলেম জগতের ইতিহাস । প্রদত্ত খেলাফত ও অধিকার প্রাপ্ত হইয়া ওছমানীয় ছোলতানগণ এযাবৎ খেলাফতের দাবী করিয়া আসিতেছেন। রাজ্যশাসন ও ধৰ্ম্মশাসন উভয়ই ইহাদের হস্তে দ্যস্ত । আববাছ বংশ সুদীর্ঘকালব্যাপী সাম্রাজ্য শাসন করে। উন্নতির যুগে বিশাল আববাছীয় সাম্রাজ্য পূৰ্ব্ব এশিয়া মাইনর, মেছর, ছিরিয়া, আরব, হেজাজ, মেছোপোটামিয়া ও পারগু লইয়া গঠিত ছিল। ৭৮৬ খৃষ্টাকেই এই সাম্রাজ্যের ব্যাপ্তি সৰ্ব্বাপেক্ষ বিস্তৃত ছিল বলিয়া অনেকের ধারণা। খলিফা হারুণ-অর রশিদের শাসনকালেই আববাছীয় শক্তি চরম উন্নতি লাভ করে। তাহার পর হইতেই নানাপ্রকারে আববাছীয়গণের শক্তি হ্রাস এবং সাম্রাজ্যের অঙ্গচুতি আরম্ভ হয় । খলিফা মামুন স্বীয় শরীর এবং সাম্রাজ্য রক্ষার্থ অর্থলোলুপ ভাগ্যান্বেষী বিদেশীয়গণকে অবাধে সৈন্তশ্রেণীতে গ্রহণ করিতে আরম্ভ করেন এবং ইচ্ছামত উপযুক্ত লোককে প্রাদেশিক শাসনকর্তৃপদে নিযুক্ত না করিয়া শাসনকর্তৃত্বকে বংশ পারস্পরিক অধিকার বলিয়া স্বীকার করিতে থাকেন। এই উভয় কাৰ্য্যদ্বারাই খলিফার ক্ষমতা বিশেষরূপে বিপন্ন হইয় উঠে এবং পরবর্তী খলিফাগণও এই সকল প্রথা নিবারণ করিতে অসমর্থ হওয়ায় ক্রমেই সাম্রাজ্যের এক এক অংশ আববাছায়গণের হস্তচু্যত হইয়া পড়িতে লাগিল । o বিশাল আববাছীয় সাম্রাজ্যের অঙ্গহানি দুই এক বৎসরে সম্পূর্ণ হয় নাই। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরিয়া এই ধ্বংসক্রিয়া চলিতে থাকে এবং তাহার ফলস্বরূপ সাম্রাজ্যের বিভিন্ন অংশে বিভিন্ন সময়ে বহু নুতন নুতন বংশের উত্থান ও পতন পরিদৃষ্ট হয়। খলিফা হারুণ-অর-রশিদ আগলাবিদ বংশকে প্রথমে কেবল মাত্র অধীনস্থ শাসকরূপেই টিউনিস দান করেন, কিন্তু সন্মান,প্রদর্শন করিয়া “মহমুদজার্দী" নামে আখ্যাত করেন। ইনি উত্তরস্কালে স্বমাত্রা দ্বীপে হেজরত করেন। ঐদ্বীপে সম্প্রতি ইহার বংশধরগণের সমাধি আবিষ্কৃত হইয়াড়ে ।