পাতা:মোছলেম জগতের ইতিহাস.pdf/৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মোছলেম জগতের ইতিহাস । ዓፃ বৰ্ত্তমান সভ্যজগতে যেরূপ শাসন প্রণালী প্রচলিত আছে, তারাও তদ্রপ প্রণালীতে শাসনকার্যা নিৰ্ব্বাহ করিতেন । তখন মোছলেম সাম্রাজ্য বলিতে অতি বিস্তৃত সাম্রাজ্য বুঝা যাইত। আফ্রিকার বাৰ্ব্বার জাতি, তুর্কিস্থানের যাযাবরজাতি, আরবীয় মরুভূমির ছারাছেন, ছিরিয়াবাসী, পারঙ্গবাসী, আৰ্ম্মেনিয়া ও মেছোপোটেনিয়াবাসী, মেছর ও স্পেনবাসী প্রভৃতি লইয়া মোছলেম সাম্রাজ্য গঠিত হইয়াছিল। এইরূপ স্থবিস্তীর্ণ সাম্রাজ্য বহুকাল একই বাদশাহের অধীনে একই ধৰ্ম্ম অবলম্বন করিয়া পরস্পর সম্মিলিতভাবে থাকা অসম্ভব হইয়া উঠিয়াছিল। আববাছীয় বংশ ৭৫০ খৃষ্টাব্দ হইতে ১২৫৮ খৃষ্টাব্দ পর্ষ্যন্ত রাজকাৰ্য্য পরিচালনা করে । উন্মীয় রাজত্বের পর শাসনকেন্দ্র ছিরিয়া হইতে ইরাকে স্থানান্তরিত হইলে তৎসঙ্গে সঙ্গে উন্নতি-স্রোতও পশ্চিম হইতে পূৰ্ব্বদেশৃে প্রবাচিত হইতে লাগিল। আব্বাছবংশীয় প্রথম আট জন বাদশাহ অত্যাশ্চর্য বুদ্ধিমত্ত ও দক্ষতার সহিত রাজকাৰ্য্য নির্বাহ করেন। জনৈক ফরাসী ঐতিহাসিক লিথিয়াছেন, —“প্রথম আব্বাছীয় রাজত্ব পূর্ব ছারাছিন জাতির সমৃদ্ধির শ্রেষ্ঠ আভরণ।” উক্ষ্মীয় শাসনকর্তৃগণ কেবল বলবীর্যের উপর নির্ভর করিতেন। রাজশক্তি যতই প্রবল হউক না কেন, প্রজাগণের সহানুভূতি ব্যতীত কোন রাজত্বই অধিক দিন স্থায়ী হইতে পারে না। উমীয়গণের প্রজাবৃন্দ বিদ্রোহভাব পোষণ করিত। কুফ হইতে থোরাছান পৰ্য্যন্ত সৰ্ব্বত্র অসন্তোষের বীজ উপ্ত হইয়াছিল। দূর দেশীয় শাসনকর্তৃগণ ক্রমে পরাক্রান্ত হইয়া স্থানে স্থানে সাম্রাজ্যের ক্ষতি সাধন করিতে আরম্ভ করিলে শাসন-বন্ধন ক্রমে শিথিল হইয়া পড়ে। শাসনকৰ্ত্তাদিগের দৌরাত্মা, অপরিমিত বিলাসিত, দুষ্প্রবৃত্তি, আত্মাভিমান, অবিচার প্রভৃতি দোষ হেতুই উক্ষ্মীরগণের অবনতি ঘটিয়াছে। অর্ণ হজরত ও খলিফাদিগেব সময়ে ইছলামেব যেমন প্রাধান্ত ছিল, উন্ময়গণের সময়ে