পাতা:মোছলেম জগতের ইতিহাস.pdf/৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মোছলেম জগতের ইতিহাস । ዓ ? হইয়াছিল, তখন ইউরোপের কুত্রাপি তাহার চর্চা আরম্ভ হয় নাই। ফ্রান্স, জাৰ্ম্মেণি, ইংলণ্ড হইতে বিদ্যার্থিগণ স্পেনে ছুটিয়া আসিত। এণ্ডেলুশিয়ার চিকিৎসকগণ অস্ত্রশিক্ষার বিশেষ ব্যুৎপত্তি লাভ করিয়াছিল। কর্ডোভার স্ত্রীলোকগণ ধাত্রীবিদ্যায় বিচক্ষণ ছলেন। এতদ্ভিন্ন ইতিহাস, দর্শন, ব্যবস্থা বিজ্ঞান কেবলমাত্র মোছলেম-স্পেনেই শিক্ষা করা যাইত। মোছলমানগণই সৰ্ব্বপ্রথম বারুদ প্রস্তুত করেন । জলপ্রণালী দ্বারা শস্তক্ষেত্রের উর্বরতা সাধন, দুর্গ, জাহাজ নিৰ্ম্মাণ, বিবিধ রূপ যন্ত্র গঠন, লৌহকার ও কুম্ভকারের কারুকার্য্য ও স্থপতি বিদ্যা প্রভৃতি বিষয়ে স্পেন দেশীয় মোছলেমগণ বিশেষ উন্নতি লাভ করেন। আলবু-মাজার, ছাবেত-এর নে-কার, ও আলি-আল-হাছার প্রভৃতির নাম ইতিহাস বিখ্যাত। দশম শতাব্দীতে ইউরোপে যে গণিত ও বিজ্ঞান চর্চা আরম্ভ হইয়াছিল, উহা স্পেন হইতেই আনীত হয়। “চেম্বাস-এন-সাইক্লোপিডিয়ায়” লিথিত আছে, ‘সাধারণ কথায় বলিতে হইলে মোছলেমগণকে নবম শতাব্দী হইতে ত্রয়োদশ শতাব্দী পৰ্য্যন্ত ইয়ুরোপের সুবিজ্ঞ চিকিৎসক বলা যাইতে পারে। স্থপতি বিদ্যায়ও আরবগণ বিশেষ উন্নতি লাভ করিয়ছিলেন।” জেরুশালেম ও কাইরোর মছজিদই ইহার अंशेन প্রমাণ। বাবিলোনিয়া, পারশ্য ও মেছর দেশের উন্নতি কৃষি শিল্পের দ্বারাই সংঘটিত হয়। মোছলেমগণই সৰ্ব্বপ্রথম স্তুষি শিল্পে বিশেষ উন্নতি লাভ করেন। ইহারা সৰ্ব্বপ্রথমে ইয়ুরোপে ইক্ষু ও তুলার গাছ আনয়ন করেন। ধাতুপাত্র ও ক্লাচের দ্রব্য নিৰ্ম্মাণে ইহার সুদক্ষ ছিলেন। মোছলেমগণই প্রথমে কাগজ আবিষ্কার করেন। ইহারা স্বত্র ও রেশমবস্ত্র বয়ন ও রঞ্জন করিতে পারিতেন। ভূগোল শাস্ত্রেও ইহারা অগ্রণী ছিলেন । অল্ মামুন সৰ্ব্বসাধারণের জন্ত লাইব্রেরীর প্রতিষ্ঠা করেন। কর্ডোভার রয়েল লাইব্রেরী জগদ্বিখ্যাত। সেণ্ট লুই ইহারই অনুসরণে ফ্রান্সে পাবলিক লাইব্রেরী স্থাপন করেন। স্পেনের লাইব্রেরীতে ছয় লক্ষ পুস্তক ছিল।