পাতা:মোহন অম্‌নিবাস দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ህ মোহন অমনিবাস "তামি বলে দেল তোমাকে ” এই বলিয়া রমা কয়েক মাহত স্থির দটিতে চাহিয়া রহিল ; পানখচ কহিল, "না, সত্যি তুমি তক কোরো না । একবার ভেবে দেখ, মেঝেটি কতদর হতাশ হয়ে তোমাকে এমন পত্র লিখতে পেরেছে । চাই না আমি শাকি, চাই না আমি নিরদ্বেগ জীবন । আমার তোমার কাছে এই অনুরোধ, তুমি দীপালীগে রক্ষা কর, পিশাচের হাত থেকে উদ্ধার করো ।” মোহন কহিলে, “বেআইনী পথেও ” "কেন, বেআইনী পথ ছাড়া কি আর পথ নেই ? পৃথিবী শািন্ধ লোক যদি মোজা পথে চলে জগৎকে চালাতে পারে, তবে তুমিই কেন তা’ পারবে না, আমি তো লাঝি নে ৷” এই বলিয়া রমা মদ হাসিল । মোহন ধীরে ধীরে উঠিয়া দাঁড়াইল ; তাহার পর কক্ষময় কয়েকবার পায়চারি করিয়া ফিরিয়া কহিল, “উত্তম । তাই হোক, রানী ; এবার সোজা পথে চলে দেখি, কতদরে যাওয়া যায়। তারপর পথ না পাই, সেখানেই দাঁড়িয়ে পড়তে তো আর বাধা নেই ? ফিরে আসাও কতটকর হবে না।” এই বলিয়া মোহন তাহার ভূত্যকে ডাকিবার ঘন্টাটি বাজাইল । বিলাস দ্বারদেশের মধ্যস্থলে উদয় হইয়া কহিল, “কতf ?” "মোটর তৈরি আছে ?” মোহন প্রশ্ন করিল। "হাঁ, কত ” বিলাস নত দটিতে চাহিয়া কহিল । "আচছা, যা ।” মোহন আদেশ দিল । বিলাস আদশ্য হইলে, রমা কহিল, "এখনি যাবে ?” মোহন রমার মুখখানি ঈষৎ তুলিয়া ধরিয়া কহিল, “মোহনের কুঠিতে কোথাও অযথা দেরি শব্দ লেখা নেই, রানী । আমি একবার মহাত্মা কালীচরণের সঙ্গে দেখা করে আসি ” রমা পত্র-স্তপেটির দিকে একবার চহিয়া কহিল, "এগুলোর কি হবে " “কিছ না, রানী।” এই বলিয়া মোহন নত হইয়া রমার মাখের নিকট মুখ নামাইয়া কহিল, "আমার বেশি দেরি হবে না।” - ്ട് ( ò ) క్ష) আমহাস্ট" স্ট্রীটের উপর মিত্র-প্যালেস, কলিকাতার অন্যতম দ্রষ্টব্যবস্তু হিসাবে পরিগণিত হইয়াছে। প্রাসাদের মালিক রমানাথ মিত্রের সবগারোহণের পর প্রাসাদের সেরাপ জাঁকজমক আর নাই। এখনও ফটকে দুইজন বন্দকধারী সাম্প্রী পাহারা দেয় বটে, কিন্তু পাবেীকার মত ষোল জন সান্ত্রীর একটি ছোটখাটো সৈন্যবহর আর নাই । প্রাসাদ-সংলগ্ন যে ড্রইং-রমে পড়বে বহন লোকের পদাপ‘ণে মুখরিত থাকিত, তাহা বতমানে একমাত্র অছি ও অভিভাবক করালীচরণের দিবা-বিশ্রাম ও রাত্রে নিদ্রার বাসস্থানে পরিণত হইয়াছে। করালীচরণের সন্ত্রী নাই। একমাত্র বিকৃত-মস্তিক, মুখী পত্র শ্যামাপদকে লইয়া, সে যখের মত রমানাথ মিত্রের ধনসম্পদ পাহারা