পাতা:মোহন অম্‌নিবাস দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՏՀ মোহন অমনিবাস ক্ৰোধ দমন করিয়া সহজ কন্ঠে কহিল, "তারপর " বুঝিতে না পারিয়া কালীচরণ জিজ্ঞাসা করিল, “কি বলছেন ?" এমন সময়ে এক ঘটনা ঘটিয়া গেল। করালীচরণের বিকৃত-মস্তিক পত্র শ্যামাপদ উধৱ বাসে কক্ষে প্রবেশ করিয়া তাহাকে তোতলা স্বরে কহিল, “দেখ না বাবা, বউ লাগ কলেচে । আমি বলছি চিতি দাকে ফেলে দিইচি,কিতুতেই বিত্তাথ কলচে না। আমাল সঙ্গে কতা বলতে না । ও বাবা, বউ লাগ কলেচে।" করালীচরণ মনে মনে বিষম বিপদ গণিয়া পত্রকে বাহিরে পাঠাইবার উদ্দেশে ব্যস্ত ভাবে কহিল, "কে আবার এই পাগলাটাকে খেপালে ? যত সব জঞ্জাল জুটেছে এখানে । এই কে আছিস ? এটাকে বাইরে নিয়ে যা " শ্যামাপদ আপনাকে পিতা কর্তৃক অস্বীকৃত হইতে দেখিয়া মহা ক্লন্ধ হইয়া কহিল, “কি, বাবা ? তোমাল এত বলো কতা ? আমি তোমাল থেলে, তোমাল বংথধল, তোমাল পিন্ডি দেব আমি, আল আমাকে বলে কিনা বাইলে যেতে ? কলবো না বিয়ে, দেখি তুমি দমিদাল হও কি ক’লে।” করালীচরণ পুনরায় ভূত্যাদি ডাকিবার জন্য দ্রতপদে কক্ষের বাহির হইলে, সহসা মোহন শ্যামাপদর একখানি হাত ধরিয়া, নিকটে টানিয়া লইয়া কহিল, "তুমিই শ্যামাপদবাবু, না ?” শ্যামাপদ ‘বাব সম্বোধনে মহাখুশি হইয়া কহিল, "হাঁ, আমিই তো, থামাপদো বাব । তুমি কে ? কি তাও ?" মোহন চকিতে একবার ঘরের দিকে চাহিয়া নত স্বরে কহিল, “তোমার বউ যাকে চিঠি লিখেছিল, সেই আমি এসেছি।” শ্যামাপদর চোখ ও মুখ উক্তজবল হইয়া উঠিল । সে জোর গলায় কহিল, *তবে ? বউ ষে বলে--” বাঁধা দিয়া মোহন কহিল, “বউ ভুল করেছে। এইবার তুমি বউকে বলোগে যাও যে, তার চিঠি পেয়ে মোহন এসেছিল। কোন ভয় নেই তার।” ২ শ্যামাপদ ভ্ৰ কুঞ্চিত করিয়া কহিল, “বউ ভয় পেয়েতে ? আমি তাক কোন থালাকে আমি ভয় করি না। তা’ বাবা থালা হলেওঁ । থামাপদ ।” &o এমন সময়ে একগাছা বেত হাতে করিয়া করালীচরণ প্রবেশ করিতেছে দেখিয়া শ্যামাপদ ভীত কন্ঠে “ঐ লে থালাকে লোগে ধরেচে" বলিয়াই দুই লম্বেফ কক্ষ হইতে বাহির হইয়া গেল । করালীচরণ কি% সাফাই গাহিতে যাইতেছিল, বাধা দিয়া মোহন কঠিন স্বরে কহিল, "এই আপনার প্য। এরই সঙ্গে কোটিপতির কন্যার বিবাহের বন্দোবস্ত করেছেন ?" মোহনের কন্ঠ"রে ৬ীও হইয়াও করালীচরণ গম্ভীর মুখে কহিল, *আপনার अर्नागकाग्न 58[ग्न tगा. zitाजन् tभएँ ।” মোহন হাসিয়া উঠিল । হাসির শব্দে করালীচরণের রন্ত জল হইয়া যাইবার