পাতা:মোহন অম্‌নিবাস দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ած মোহন আমনিবাস অঞ্চম্মাং কন্ধে হইয়া চীৎকার স্বরে করালীচরণ কহিল, "বিবাহ হবে না আপনার কথায় নাকি ? আমি আপনাকে ভয় করি না । যান আপনি আমার বাড়ী থেকে ।" মোহন সবিস্ময়ে চাহিয়াছিল ; কহিল, "এতখানি সাহস আপনার কি করে এল, করালীবাব ? আপনি কার সামনে দাঁড়িয়ে আসফালন-অভিনয় করছেন, জানেন ?" করালীচরণ একবার পশ্চাতে চাহিয়া চীৎকার করিয়া কহিল, "জানি আমি কা’র সঙ্গে কথা বলছি। আমি জানি একটা ঘণিত দস্থ্য—যে অতীতে বহ লোকের সব'নাশ করেছে, আমাকে ভয় দেখাতে এসেছে। আমাকে প্রাণের ভয় দেখিয়ে আমার পবিত্র দায়িত্ব পালনে বাধা দিতে এসেছে । কিন্তু শোনো দস্থ্য মোহন, তুমি যদি আমাকে খনও করো, তব আমি তোমার দাবি মানব না । তোমার ভয়ে আমি তোমাকে টাকা ঘষে দিয়ে নিজেকে খাটো করব না।” মোহন ভ্ৰ কুঞ্চিত করিয়া কহিল, “ওসব কি বলছেন " এমন সময়ে নিঃশব্দ পদে মিঃ মিলার মোহনের পিছনে আসিয়া গম্ভীর সবরে কহিলেন "হাত তুলে দড়িাও ” মোহন বিদ্যুদ্বেগে দুই পা আগাইয়া আসিয়া হাত তুলিয়া দড়িাইল এবং ডিটেকটিভ অফিসারের দিকে চাহিয়া বিসিমত কণ্ঠে কহিল, “এর মানে ?" মিঃ মিলার সাজেণ্টদ্বয়কে ইঙ্গিত করিলেন । তাহারা মোহনের হাতে হাতকড়ি লাগাইয়া দিল । পরে তিনি মোহনের বিসিমত ও শতক মুখের দিকে চাহিয়া গম্ভীর স্বরে কহিলেন, "ব্ল্যাকমেলিং চাজে আমি তোমাকে গ্রেফতার করলুম।" সাজে"টদ্বয়ের দিকে ফিরিয়া পুনশ্চ কহিলেন, “নিয়ে যাও।” মোহন একবার করালীচরণের হাস্যোঙ্গজলে মুখের দিকে চাহিল, পরে মিঃ মিলারের ততোধিক গাম্ভীয়া-ভাবময় মুখের দিকে চাহিয়া কহিল, "চলন " ভারত-ত্রাস, পলিস-লাস দস্থ্য মোহনকে যে এত সহজে, এমন অবলীলাক্রমে গ্রেফতার করা যাইবে তাহা মিঃ মিলারের নিকট এক অপবে বিস্ময়রপে প্রতিভাত হইল। তিনি আপন সাফল্য-গবে আত্মহারা হইয়া কহিলেন, “দস্থ্য মোহন, আমি মিঃ বেকার নই, আমি মিঃ মিলার ।” of মোহনের মখে ক্ষীণ হাসির রেখা ফটিয়া উঠিয়াই মিলাইয়া গেল। তাহার মখ অস্বাভাবিক গাম্ভীষে পণ্য হইয়া উঠিল । ৯১ দস্থ্য মোহনকে লইয়া মিঃ মিলার বাহির হইয়া গৈলে, করালীচরণ মহোল্লাসে চীৎকার করিয়া উঠিয়া পাগলের মত নিজেকে নিজে কহিল, “এইবার করালীচরণ, তোমার সৌভাগ্য-সয" উঠবে। তুমি বাধা-বিপত্তি-হীন গতিতে উন্নতির চরম শিখরে উঠবে। তোমার কামনা পণ্যে হবে । তুমি জমিদার হবে, রায়বাহাদর হবে, পরিশেষে রাজা রায়বাহাদর হয়ে, তোমার স্বপ্ন তুমি সফল করবে ; কে ওখানে ?” একটা মদন দ্রুত পদ-শব্দ বাতাসে মিলাইয়া গেল । করালীচরণ দ্রত-পদে বাহির হইয়া দেখিতে চেষ্টা করিলেন ; কিন্তু কাহাকেও দেখিতে না পাইয়া কন্ধ স্বরে ডাকিলেন, "এই হতভাগা কেটা ।”