পাতা:মোহন অম্‌নিবাস দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নাগরিক মোহন Տ(է তো প্রাঞ্জল নয়, মোহন ?" মোহন রহস্যময় হাস্যে আলোকিত হইয়া কহিল, “সব কিছই যদি সবার কাছে প্রাঞ্জল হ’তো, তবে পরম পরমেশ্বরের আর প্রয়োজন থাকত না, বন্ধ ।” মিঃ বেকার ভ্র-কুঞ্চিত করিয়া কহিলেন, “তা বটে। কিন্তু আমি যখন এতদর অগ্রসর হয়েছি, তখন ওটুকুও অনমান ক’রে নিতে পারবো।” মোহন কহিল, “তা’ পারবেন।” মিঃ বেকার উঠিয়া দাঁড়াইলেন ; কহিলেন, “তোমার কেস শীগগির উঠছে, তোমার প্রমাণ প্রস্তুত আছে তো ?” মোহন হতাশ স্বরে কহিল, "না, বন্ধ । আমি কোন প্রমাণ দাখিল করবো না বা সাক্ষী মানব না ।” মিঃ বেকার সবিসময়ে কহিলেন, “জেল খাটবে ?” “কখনও তো খাটিনি, একবার পরীক্ষা করে না হয় দেখাই যাক ৷” এই বলিয়া মোহন হাসিয়া উঠিল । মিঃ বেকর গম্ভীর মুখে বাহির হইয়া গেলেন । ( а ) বাড়ন্ত-পটে মেয়ে চৌদ্দ বছরের কুমারী দীপালী মিত্রকে দেখিলে তাহাকে ষোড়শী বলিয়া ভুল হইত। রাজভোগের ভিতর প্রতিপালিতা মেয়ে শিশু বয়সে মাকে হারাইয়া, কোটিপতি পিতার নয়ন-পত্তেলি হইয়া সব প্রকার সুখ-সবাচ্ছন্দ্যের ভিতর বধিত হইতেছিল। মাত্র এক বৎসর পুবে পিতাকে হারাইয়া, পিতার নিদেশ-দত্ত উইলের বলে বত"মানে পিশাচ করালীচরণের অভিভাবকত্বে আপন প্রাসাদে বন্দিনী-জীবন যাপন করিতেছে । মানুষ যেমন প্রিয়জনকে হারাইয়া আকুল হইয়া ক্ৰন্দন করে, অভাগিনী মেয়েটা তেমনি ভাবে ক্ৰন্দন করিয়া নিজের অদষ্টকে ধিক্কার দিতে লাগিল। যেটুকু আলো তাহার চক্ষর সামনে ফুটিয়া উঠিয়াছিল,তাহাও পথিবীর ঘনা-ধকারে ডুবিয়া গেল । সেদিন শ্যামাপদ বার বার চেষ্টা করিয়াও দীপালীর দশন পাইল না। দীপালীর পরিচারিকার নিকট হইতে বার বার একই উত্তর পাইল ষে৯দীপালীর শরীর অসুস্থ হইয়াছে ; সে ক্ষিপ্তপ্রায় হইয়া উঠিল এবং পিতার নিকট গিয়া কন্ধ স্বরে কহিল, "বউয়ের অথত করেতে, ডাগদার ডাগো ।” করালীচরণের মন সেদিন খুশিতে পাণ ছিল ; কহিল, “কি অসুখ করেছে ” “জানি না। আমি ডাগদার নই।” শ্যামাপদ অভিযোগ জানাইল । করালীচরণ কহিল, “আচছা দেখছি, তুই যা।” এমন সময়ে একজন ভৃত্য প্রবেশ করিয়া কহিল, "একটি মহিলা দেখা করতে এসেছেন ।" “মহিলা!" করালীচরণের ভ্ৰ কুঞ্চিত হইয়া উঠিল । সে কহিল, “আচ্ছা পাঠিয়ে দে ।”