পাতা:মোহন অম্‌নিবাস দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নাগরিক মোহন ○。 ( s ) মোহনের হাজত-বাসের চতুথ দিবসে মিঃ বেকার মিলারকে সঙ্গে লইয়া প্রেসিডেন্সী জেলে মোহনের সহিত দেখা করিতে গমন করিলেন । মিঃ বেকারের সহিত মিলার সাহেবকে দেখিয়া মোহন প্রথমে হাসি মুখে মিঃ দেকারকে সাদর-সম্ভাষণ করিয়া কহিল, “এ বেচারীকে আবার কাট দিলে কে, মিঃ বেকার ? আহা, বেচারীর সেদিন বড় উৎকন্ঠায় কেটেছে !” মিঃ বেকার বঝিতে না পারিয়া কহিলেন, "কা'র কথা বলছ তুমি, মোহন ? মিঃ মিলার, আমার সহকারী, যিনি তোমাকে একদিনে গ্রেফতার করে সুনাম অজ’ন করেছেন । এবার চিনতে পেরেছ " মোহন যেন আকাশ হইতে পড়িল, এমন ভাব দেখাইয়া কহিল, “হায় অদষ্ট ! ৩লে আমি কি বলছি ? সেদিন-আচ্ছা ওঁকেই জিজ্ঞাসা করো, বন্ধ, সেদিন ওর হাট" ঢিপ ঢপ করেছিল কিনা ?” মিঃ মিলার আরক্ত মুখে কহিলেন, “তোমার মত দস্থ্যকে গ্রেফতার করতে হাটপালপিটেসন হয় না। কেন-যে মিঃ বেকার অতীতে তোমাকে ধরতে বেগ পেয়েr&ন, তা? আমি এখনও বুঝতে পারছি না । কারণ তোমার মত ক্ষীণজীবী, স্থললন্ধি বাবু-দসু্যকে গ্রেফতার করা আদৌ শক্ত কাজ নয় ।” “শোনো বেকার, তোমার কাজে এইবার ইস্তফা দেওয়া উচিত।” এই বলিয়া মোহন মিঃ মিলারের আপাদমস্তক কয়েকবার দেখিয়া লইয়া পুনশ্চ কহিল, “এ*র মত এমন উপযুক্ত অফিসারের মেরিট যে-গভন'মেণ্ট বোঝেন না, সে-গভন'মেটের অনেক লাঞ্ছনা আমার হাতেই আছে ।” মিঃ বেকার তাঁহাব সহকারীর আত্ম-গব শুনিয়া মনে মনে অসন্তুষ্ট হইলেও, পঞ্চাশ্যে কিছু বলিলেন না। মিঃ মিলার বিরক্ত কণ্ঠে কহিলেন, "গভন'মেটের কি উচিত আর অনুচিত, বোধ ে তোমার মত একজন দস্যর মুখে তা’ শোনা ধৰ্ম্মটতা ছাড়া আর কিছুই না יין মোহন মদ হাসিয়া মিঃ বেকারের দিকে চাহিয়া কহিল, “মিঃ মিলার ঘড়িটা 7. পথেই হারালেন ? আহা ঘড়িটা দামী ছিল ।” ১৮ মিঃ বেকার চমকিত হইয়া মিঃ মিলারের দিকে চাহিতে দৈখিলেন, তিনি পকেট খ:"ঞ্জয়া দেখিতেছেন। কহিলেন, “কি হ’ল, মিঃ মিলার ?” মিঃ মিলার কহিলেন, “ঘড়িটা পাচিছ না।” মোহন হাসিয়া কহিল, “পাবেন আর কি ক’রে ? আমার মত তুচ্ছ ব্যক্তির 18*াতেই দিন-রাত বিভোর থাকলে আর-কি কিছু ঠিক থাকে ? এবার পেলেন, nি"তু ভবিষ্যতের জন্য সাবধান হবেন।” এই বলিয়া মোহন ঘড়িটি বাহির করিয়া wিn মিলারের হাতে তুলিয়া দিল । মিঃ বেকার মদে হাসিয়া মনে মনে ভাবিলেন, মোহন মিলারকে মাত্র সামান্য শিক্ষা দিযাছে । মিঃ মিলার সবিসময়ে কহিলেন, "তুমি আমার ঘড়ি কোথায় পেলে ?”