পাতা:মোহন অম্‌নিবাস দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নাগরিক মোহন 8& শোধ করিল। সে হাসিতে হাসিতে কহিল, “হাজারের কাছে বলতে লজ্জা পাই ৬াই, নইলে একটা রসিকতা করতাম। কিন্তু থাক—এখন আপনার কতজন সাক্ষীর প্রয়োজন বলনে ?" মাল কয়েক মাস পাবে ভারতে আগত মিঃ মিলেেরর মুখে পরম বিসময়ের আভাস ফুটিয়া উঠিল ; তিনি কহিলেন, “তার মানে ? প্রয়োজন অনুসারে সাক্ষী হলে, না সাক্ষী অনুসারে প্রয়োজনের অভাব মিটবে " করালীচরণ হাসিতে হাসিতে কহিল, “আমি মরেখ্যে মনিষ্যি, হজের ; ও-সক ছাই-কোলজী আমার মাথায় ঢোকে না । আমি এইটুকু বুঝি, কেস আমাকে প্রমাণ করতে হবে, আর সেজন্য আমি সম্পণেরপে প্রস্তুত । আপনি আমাকে বলন, কবে শনানী হবে, ব্যাস সেইদিন আমি সব কিছয় প্রমাণ-পত্র নিয়ে আদালতে হাজির হব ।” মিঃ মিলার কয়েক মহতে একদটে করালীচরণের দিকে চাহিয়া থাকিয়া কহিলেন, “শনানীর এখনও কিছু বিলম্ব আছে।” “দস্থ্যকে জামিন দেওয়া হবে নাতো, হজের ঐ দেখবেন, তা’ হ’লে আমাকে পথে বসতে হবে।" করালীচরণ উদ্বেগে ভাঙ্গিয়া পড়িল । “পথে বসতে হবে কেন ?" মিঃ মিলার নিরীহ স্বরে প্রশ্ন করিলেন । "কেন হবে । দস্থ্য মোহনকে-তো এখনও আপনি চেনেন না । যদি চিনতেন, ৩াহলে এমন নিবেধি-প্রশ্ন কখনও করতে পারতেন না। হজের, এমন কাজ নেই, যা দস্থ্য মোহন শত-সহস্র বাধার মুখেও অবলীলাক্লমে করে যেতে না পারে । ওরে বাপস-রে । সে যদি এখন ছাড়া পায়, তা হলে আমার সবনাশ হয়ে যাবে ! কেউ রাখতে পারবে না।” মিঃ মিলার বুঝিতে না পারিয়া কহিলেন, "আহা! ব্যাপার কি বলন তো ? সত্যিই কি অন্য কোন ব্যাপার আছে, যার জন্য আপনি মোহনকে দরে রাখতে চান ?” o ধত করালীচরণ বঝিল, মিলার সিনিয়র অফিসার হইলে কি হইবে, তিনি কিছুই বঝিতে পারেন নাই। অতএব এরূপ সং অফিসারের নিকট অত্যন্ত সতক হইয়া চলিতে না পারিলে সব কিছুই-যে পণ্ড হইয়া যাইবে ববিতে তাহার বিলম্ব হইল না। সুতরাং সে মুখ-ভাব কাতর করিয়া কহিল, “অন্য আর কি ব্যাপার থাকবে, হজের ? যদি কিছদ থাকতো, তা’ হ’লে হজারের তীক্ষ দুটিতে কি আর তা’ গোপন থাকতো ? তা" নয়। তবে জানেন-তো আমাকে কি-এক রাজার সম্পদ তত্ত্বাবধান করতে হয় ? দস্থ্যর লোভও ছিল ওই সম্পদের ওপর । তাই সে ছলে, বলে, কৌশলে আমাকে ভয় দেখিয়ে টাকা উপায় করবার জন্য এসেছিল । আপনি সেদিন অতি মল্যবান কথাই বলেছিলেন হজের যে, মোহন আমাকে র্যাকমেল’ করতে এসেছিল। এর অপেক্ষা ভাল ও উপযন্ত বিশেষণ আমার কিছ: জানা নেই ।” আপন প্রশংসায় মিঃ মিলারের মন অপেক্ষাকৃত শাস্ত হইয়া গেল। তিনি