পাতা:মোহন অম্‌নিবাস দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○bf মোহন অমনিবাস “তা'রা সকলেই সংবাদপত্র পাঠ করে । এটা যেন তাদের নেশায় দাঁড়িয়েছে। প্রতি প্রভাতে হকার এসে তাদের ‘বাঙলার ডাক’ সংবাদপত্র দিয়ে যায়। এই বিলাসটুকু তাদের প্রত্যেকেরই আছে।” মিঃ বেকার মদ হাসিয়া কহিলেন । মোহন কহিল, “ওই হকারদের সম্বন্ধে নিশ্চয় অনুসন্ধান করেছ ?” মিঃ বেকার হাসিয়া কহিলেন, “মিছে অবাস্তর প্রশ্ন তুমি করছ, মোহন । আমি যখন তাদের কাছে হার মেনে এই ঘটনা তোমার কাছে বণনা করতে বাধ্য হয়েছি, লঙ্গিজত হইনি, তখন তুমি ধরে নিতে পারো আপাতঃ দটিতে যা সন্দেহজনক, বিচারকের দটিতে তা’র সব কিছুই তন্ন তন্ন ভাবে পরীক্ষা ক'রে দেখা হয়েছে। এখন আমি এইটুকু বলতে চাই, আমি সম্পণেরপে সন্তুষ্ট হয়েছি যে, তারা বাইরের কোন সংস্রবে যায় না বা বাইরের কোনও সংস্রব তাদের কাছে আসে না । সুতরাং একমাত্র এই সিদ্ধাস্ত করা যেতে পারে, হয় তারা অস্তষামী নয় তারা ভবিষ্যৎ দুটা ।” মোহন কহিল, “এই জন্যই তুমি ঘন ঘন মফস্বলে যাও, বেকার ?” মিঃ বেকার কহিলেন, “হাঁ এবং এই জন্যই তোমার আদলেট এই দভোগটুকু মিঃ মিলারের হাতে ঘটবার সুযোগ পেয়েছে, নইলে-“” মোহন মদে হাসিয়া কহিল, “নইলে কি হ’ত ?” “নইলে তোমাকে গ্রেফতার করবার আদেী প্রয়োজন হ’ত না । কিন্তু তোমার কথা যাক, মোহন । এখন আমার রিপোর্ট তো তুমি শনলে। এক্ষেত্রে আমাকে কি পরামর্শ দিতে পারো তুমি ?” মোহন সন্ত্রস্ত ভাব দেখাইয়া কহিল, "তোমাকে পরামর্শ দেব তেমন ধান্টতা আমি রাখি না, বেকার ।” “আঃ মোহন । এ-সময়ে ওসব বাজে কথা রাখো তুমি । আমি তো তোমার কাছে স্বীকার করেছি, তোমাকে আমি অনেক বিষয়ে শ্রদ্ধা করি । সত্যই তোমার তীক্ষণ-বন্ধির কাছে আমাদের বার বার পরাভব ঘটেছে। সত্যু কথা বলতে কি, আজও তুমি অপরাজেয় হয়ে আছো ।” মিঃ বেকার সশ্রদ্ধ কণ্ঠে কহিলেন । মোহন সবিসময়ে কহিল, "অপরাজেয় হয়ে গেছি, না এমন লঙ্কজাজনক পরাজয় আমার জীবনে কখনও হয়নি ? নইলে মিঃ মিলারের মত তরণী মাখ অফিসার আমাকে গ্রেফতার করেন, না করালীচরণের মত একটা ছিচকে চোরের জালে আমি জড়িয়ে পড়ি ? না বেকার, না । তুমি যতটা আমাকে স্নেহের চোখে দেখ, তা’র অধে'ব ও যদি অফিসারের দটিতে দেখো, তা’ হ’লেই আমার অপদাৰ্থতা সম্যক ভালে বুঝতে পারবে ।” 1ম লেকার হতাশ স্বরে কহিলেন, "তুমি ক্ৰমশঃ বাক্যবাগীশ হয়ে উঠছ, মোহন । বাঙালীর বিশেষত্ব যাবে কোথায় ।” মোহন কৃটিম কুপিত স্বরে কহিল, "কি বললে, বন্ধ ? বাঙালীর বিশেষত্ব । কিন্তু তুমি কোন সাহসে এত বড়ো কথা আমার সামনে উচ্চারণ করলে, বল দেখি । একমাত্র বাঙালীদের জন্যই, নইলে তোমাদের ভাবনার কি ছিল ? নাকের সমধের ৬েল কখনও মোছখার প্রয়োজন হত কি ? তা’ ছাড়া যে মহতে একজন