পাতা:মোহন অম্‌নিবাস দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৭৪

নাগরিক মোহন aS মিঃ বেকার সমথনি জানাইলেন । toল-সুপার কহিলেন, “আমারও তাই মনে হয় স্যার ।” এম. সময়ে জেলারের সহিত একজন প্রহরী আসিলে, প্রহরীকে মোহনের সেলে পাহারায় নিযন্তে করিয়া, সকলে সেখান হইতে অফিস-কক্ষে প্রত্যাবতন করিলেন । ( ১৯ ) মোহনের যেমন কোন অপরাধের প্রমাণ বা সত্রে পিছনে পড়িয়া থাকে না, তেমনি এ৩গলি লোকের এরপ বিরাট কায্যেরও এমন কোনও সত্রেই পাওয়া গেল না, যাহা wরয়া দসু্যদলের কোন কিনারা হইতে পারে বা সেজন্য মোহনকে জড়িত করা বাটতে পারে । সারারান্ত্রি ধরিয়া অনুসন্ধান কায চলিল । সারা-কলিকাতার প্রবেশ-পথে ও নাহির হইবার পথে কড়া পাহারা বসিল । প্রত্যেকটি ট্রেন ছাড়িবার পাবে" তন্ন তন্ন করিয়া অনুসন্ধান কায চলিতে লাগিল, কিন্তু একজন দস্যরও কোন সন্ধান w||५ग्ा ८१ाळ् ना । পলিস-কমিশনার প্রভৃতি অফিসারগণ এই ভাবিয়া উদ্বিগ্ন হইয়া উঠিলেন যে, এ৩গলি লোক জেলে রসিয়া এতগুলি রিভলভার সংগ্ৰহ করিল কোন পথে ? ওখ্যতীত কোন উদ্দেশ্যে তাহারা এরপ বিপদজনক, দুঃসাহসের কায করিল, ৬াহারও কোন সন্তোষজনক কৈফিয়ৎ পাওয়া গেল না। মিঃ বেকার গভীর ভাবে চিন্তা করিলেন, নানা পথে অনুসন্ধান কাষ চালাইতে লাগলেন ; কিন্তু মোহনকে জড়িত করিতে পারা যায়, এমন কোন সত্ৰই আবিস্কার পMরতে পারিলেন না। পরদিন প্রভাতে মিঃ বেকার মোহনের নিকট আসিয়া দেখিলেন, মিঃ মিলার উত্তেজিত হইয়া মোহনকে জেরা করিবার চেষ্টা করিতেছেন এবং মোহনের শাস্ত ও নিরীহ উত্তরে তপ্ত হইয়া উঠিতেছেন । মিঃ বেকার সেখানে উপস্থিত হইয় নিঃশব্দে টেবিলের উপর উপবেশন করিলেন। তাঁহার আগমন মিঃ মিলার এবং মোহন লক্ষ্য করিল বটে, কিন্তু কেহই কিছমাত্র চাঞ্চল্য প্রকাশ করিল না। ঠে। মিঃ মিলার বলিতেছিলেন, “আমি বিশেষ ভাবে অনুসন্ধান করে জেনেছি যে, অন্য কোন সেলের দ্বার দস্যরা জোর করে ভাঙ্গেনি কিবা খোলেনি, মাত্র তোমার দ্বারই খুলেছে। এর কৈফিয়ত কি তোমার ?” মোহন যেন আকাশ হইতে পড়িল । কহিল, “আমার ?" “হাঁ তোমার। আমি শনতে চাই, বলো।” মিঃ মিলার গজ’ন করিয়া উঠিলেন। মোহন সোজা হইয়া বসিয়াছিল ; অকস্মাৎ চেয়ারে হেলান দিয়া পা ছড়াইয়া জালস্য ভাঙ্গিতে ভাঙ্গিতে কহিল, “ওঃ ডিয়ার । আমার ভীষণতম শতকেও আমার এই বন্ধর হাত থেকে রক্ষা করন ।" মিঃ মিলার গজনি করিয়া কহিলেন, “দেখ মোহন, আমার ধৈয্যেরও সীমা আছে। তোমাকে এই শেষবার সতক ক’রে দিচ্ছি, আমার প্রশ্নের পটি উত্তর দেবার চেষ্টা