পাতা:মোহন অম্‌নিবাস দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মোহন অমনিবাস ধত করালীচরণের দু'টি চক্ষ ক্ষুদ্র ও গোলাকার হইয়া উঠিল । সে কহিল, ”কে কামড়ে দিয়েছে ” রমা বিস্মিত হইয়া তীব্র দটিতে চাহিয়া কহিল, “এইযে আপনি বললেন ষে, মিঃ মিলারকে কামড়ে দিয়েছে ?” "নিশ্চয় বলেছি।” এই বলিয়া করালীচরণ গজিয়া উঠিল । পুনশ্চ কহিল, "আর তুমিও শুনেছ। কিন্তু জিজ্ঞাসা করি ঠাকরন, ওই মিটি নামটা উচ্চারণ করতে তোমার এত বাধছে কেন ? কে তুমি ?” রমা মনে মনে বিপদ গণিল । কিন্তু সাহস না হারাইয়া কহিল, "আমি কে, সেপ্রমাণ আপনাকে ভাল ভাবেই দিয়েছি। কিন্তু এখন আপনার যদি আর কিছর বলবার না থাকে, আমি যেতে পারি কী ?” পিশাচ করালীচরণ ক্ষণকাল একদম্পেট থাকিয়া সহসা অট্টহাস্যে ভাঙ্গিয়া পড়িল এবং তেমনি অকস্মাৎ হাস্যবেগ রন্ধ করিয়া গম্ভীর কণ্ঠে কহিল, “তুমি কে, আমি বিশেষ ভাবেই জেনেছি, ঠাকরন । কিন্তু আমি নারী-জাতকে কিছু বলি না তাদের পলিসেও দিই না। কে তুমি ? শনবে ? মোহন-গহিণী, তুমি এসেছিলে কামার ঘরে ছ:চ বেচতে ! কি বলব, মেয়েছেলেদের গায়ে আমি হাত দিই না, নইলে তোমার ঘাড় ধরে হিড়হিড় ক’রে টানতে টানতে ধাপার মাঠ অবধি নিয়ে যেতাম । করালীচরণকে ফাঁকি দেবে একটা দসু্যর সত্রী, এত বড়ো দুঃসাহস তোমার হল কি প্রকারে, যাও, বেরিয়ে যাও বলছি।” রমার বিসময় ও বিহবল ভাব কাটিয়া গেল । সে দাপ্ত তেজে সিংহিনীর মত মাথা তুলিয়া কহিল, "আমি যাচিছ । কিন্তু আপনাকেও সাবধান ক’রে যাচিছ, আমার স্বামীর আদেশ অবহেলা করবেন না । তাঁর ক্ৰোধ থেকে আপনাকে রক্ষা করবার জন্য এ পথিবীতে কাউকেই সহায় পাবেন না। আপনি যদি আপনার, আর আপনার পত্রের মঙ্গল চান, তবে-” রমার কথা অসমাপ্ত রহিল। করালীচরণ ক্ৰোধে দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হইয়া কহিল, বেরিয়ে যাও বলছি, নইলে—” ് শ্যামাপদ কোথায় ছিল, সে দ্বতপদে প্রবেশ করিয়া ক্ৰোধের্কাপিতে কপিতে কহিল, "তুমি বাবা, না থালা ? তোমাল এত্তো সাহস যে দিদিকে অপমান কলো ?” করালীচরণ একগাছা ছড়ি তুলিয়া লইয়া, সক্ৰোধে পত্রের দিকে অগ্রসর হইতেই, শ্যামাপদ দ্রত কণ্ঠে কহিল, “পালাও দিদি, পালাও, থালা খেপেতে।" এই বলিয়া সে উধনী-বাসে দৌড়াইয়া বাহির হইয়া গেল। রমাও দ্রতপদে বাহির হইয়া, একেবারে ফটকের বাহিরে গিয়া রাস্তার উপর দাঁড়াইল । রমা একখানা গাড়ীর জন্য রাস্তার উভয় পাবে চাহিতেই, একখানা অতি পরিচিত মোটর-কার নিঃশব্দে দ্রুত আসিয়া তাহার সম্মুখে দাঁড়াইয়া পড়িল এবং মোটর হইতে অতি-পরিচিত একটি স্বর কহিল, “আমি অনেকক্ষণ তোমার জন্য অপেক্ষা করছি । এত দেরি হ’ল কেন, রানী : এস, ভেতরে এস ।” রমার দেহ উৎকট উল্লাসে থরথর করিয়া কাঁপিয়া উঠিল । কল্পিত পদে মোটরে