পাতা:মোহন অম্‌নিবাস দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৯৪

নাগরিক মোহন సిఫి. দিগন্ত ও পরাতন ভৃত্যদ্বয় যাহারা বাড়ীর রক্ষণাবেক্ষণ কাযে নিষত্তে ছিল,uারের আগমন-শব্দে ছটিয়া আসিয়া তাহাকে অভিবাদন করিতেছে। মোহন হাস্য মুখে একজন ভৃত্যকে লক্ষ্য করিয়া কহিল, “ভাল আছিস মধ্য ?” মধ আবক্ষ মাথা নত করিয়া কহিল, “হুজরের কৃপায় কোন অভাব নেই ।” ট্যাক্সিকে বিদায় করিয়া দিয়া মোহন ভূত্যের পশ্চাতে ড্রইং-রমে প্রবেশ করিয়া দেখিল, ঘরখানি ভূত্যেরা এরপে পরিৎকার ও পরিচছন্ন রাখিয়াছে যে, মনে হয় গ,হের অধীশ্বর এইখানেই বাস করিতেছেন । মোহন তৃপ্ত হইয়া কহিল, "শোবার জর খুলে দে ।” শয়ন-কক্ষের অবস্থাও অনরপে পরিচ্ছন্ন। কক্ষের চারিদিকে দুটিপাত করিয়া মোহন অত্যন্ত খুশি হইয়া কহিল, "আমি খুব খুশি হয়েছি, মধ্য ।” বলিতে বলিতে twাহনের হাত পকেটে প্রবেশ করিল এবং অবিলম্বে যখন বাহির হইয়া আসিয়া মধরে দিকে প্রসারিত হইল, মধ্য দই হাত পাতিয়া ষে অঙ্কের পরস্কার গ্রহণ করিল, তত গথ একত্রে সে ইতিপবে জীবনে আপনার বলিয়া সবপ্নেও দেখে নাই । মধ; ও তাহার সহকারী প্রভুকে দ্বিতীয়বার প্রণাম করিল। মধন নম্র কঠে কহিল, “কি আহার হবে, হজের ?” মোহন হাসিয়া কহিল, “কিছুই হবে না । আমি কলকাতায় খেয়ে এসেছি।” মধ্য বিসফারিত দটিতে চাহিল। মধরে বিসময় বুঝিতে পারিয়া মোহন পনেশচ কহিল, “আমি উড়োজাহাজে এসেছি, মধ্য ।” মধ্য ভক্তি-ভরে কহিল, “মা জননী এলেন না ?” - “না।” এই বলিয়া মোহন বেশ পরিবতন শেষ করিয়া কহিল, “আমার গাড়ী lঠক আছে-তো ?” মধ্য আভুমি নত হইয়া কহিল, "আছে, হজের । তবে একজন--” বাধা দিয়া মোহন কহিল, “সোফার দরকার। তা’র প্রয়োজন নেই । কয়েকটা ঘণ্টা আমিই চালিয়ে নেব। আচ্ছা, এখন ঘমো-গে যা। কাল সকালে তোর সঙ্গে কথা বলব ।” * মোহন তৃপ্ত মনে দগ্ধফেননিভ শয্যায় সেদিন রাত্রে যখন ទ្វត៍ তখন রান্ত্রি ১টা বাজিয়া গিয়াছে। কিছমাত্র চিন্তা না করিয়া মোহন নির্তি হইয়া পড়িল এবং অভ্যাস মত পরদিন অতি প্রত্যুষে যখন নিদ্রা ভঙ্গ হইল,তখন দেখিল, ঠিক নিয়মা •,যায়ী মধ্য দ্বারের বাহিরে তাহার প্রতীক্ষায় দাঁড়াইয়া রহিয়াছে । যথারীতি প্রাতঃকৃত্য, ভ্রমণ ও প্রাতভোজন সমাপনাস্তে মোহন সজ্জিত হইয়া, ৭াহির হইবার পাবে মধকে নিকটে আহবান করিয়া কহিল, "এখানে তুই কত বছর আছিস, মধ্য ’ “আমার জ্ঞান হওয়া অবধি কাশীধামেই আছি, হজের ” মধ্য সবিনয়ে নিবেদন করিল। "এখানে হরিপদ দে নামে কোন লোককে চিনিস ?” মোহন প্রশন করিল । মধ্য ভ্র-কুঞ্চিত করিয়া ক্ষণকাল চিস্তা করিয়া কহিল, “না, হজর। কিন্তু -