পাতা:মোহন অম্‌নিবাস প্রথম খণ্ড.pdf/১০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কারাগারে মোহন > * > চেয়ে আমার বেশী কোরে জানতে ইচ্ছে করে, এইসব জিনিস চুরি কোরে .ক ২য় স লুকিয়ে রেখেছে! ক্যাপ্টেন তো বললেন, তিনি তক্তা তুলে তুলে খোজ কোরেও কিছুই দেখতে পাননি; তবে ?” আমি বললুম, “এর মধ্যে বিস্মিত হবার কি আছে, মিস সোম? আমরা তো দেখেছি যে, সে বেছে বেছে মহামূল্য ও আকারে ছোট হীরাগুলিই নিয়েছে! আমার হাতের ছোট কোডাক ক্যামেরার এই ফোন্ডে বহু সহস্র টাকার হীরা যদি লুকিয়ে রাখি, তবে কে তার সন্ধান পাবে, মিস সোম? এও তেমনি। যে দস্য এতগুলি বুদ্ধিমান লোককে বোকা বানিয়ে এখন পর্যন্ত নিজেকে স্বাধীন রাখতে পেরেছে, তা’র পক্ষে এ সব চিন্তা করা খুবই স্বাভাবিক নয় কি?” মিস সোম চিন্তিত মুখে বললেন, “তা হবে। কিন্তু কে সেই দস্য, মিঃ চন্দ?” আমার মুখে মৃদু হাসি ফুটে উঠল। আমি বললুম, “আমিও ঠিক ওই প্রশ্নই করছি, মিস সোম। বর্তমানে যা’ অবস্থা দাড়িয়েছে, তাতে কে যে দসু মোহন নয়, তাই এক সমস্যা হ’য়ে দাঁড়িয়েছে।” । এমন সময়ে একজন বাঙালী ভদ্রলোক ডেকে এসে উচ্চস্বরে বললেন, “ক্যাপ্টেনের ঘড়ি পাওয়া গেছে।” আমরা সকলে উৎসাহ ভরে জিজ্ঞাসা করলুম, “কোথায়? কা’র কাছে?” “কারুর কাছে নয়, মশাই। সেকেণ্ড অফিসারের প্যান্টলুনের পকেটের মধ্যে। সেকেন্ড অফিসরা হঠাৎ পকেটে হাত দিয়ে দেখে, কি একটা ভারী বস্তু রয়েছে। সে বিস্মিত হয়ে সেটা বা’র কোরে দেখে, বস্তুটি ক্যাপ্টেনের অপহৃত ঘড়ি। তখনি সে ক্যাপ্টেনের কাছে ছুটে গিয়ে এই আশ্চর্য কাহিনী জানায়।” ভদ্রলোক বিবৃতি করলেন। একজন যুবক বললেন, “তা হ’লে সেকেণ্ড অফিসারেরই কাজ এটা।” ভদ্রলোক চটে গিয়ে বললেন, “কখনও না। আর যদি সে চুরি কোরেই থাকবে, তবে আবার আপনা হতে জানাতে যাবে কেন মশায় ? এই বুদ্ধি নিয়ে সংসার করছেন কি কোরে? এ সেই দস্যু-মহারাজ মোহনের একটু তামাশা আর কি!” & “তা হলে মোহনের রসবোধও আছে?” আমি মিস সোমের দিকে চেয়ে বললুম। মিস সোম শুধু বললেন, “আশ্চর্য!” ക് মিস সোমের মুখের কথা কেড়ে নিয়ে একজন যুবক, মেইতিপূর্বে বহুবার মিস সোম। আমার এমন আনন্দ হচ্ছে!” আমি সবিস্ময়ে বললুম, “আনন্দ?” “হা, মশাই, হা। আনন্দ করবো না তো কাদবো না-কী? এমন কটা বীরপুরুষ বাঙালীর ঘরে জন্মায়? যদিও সে ভুল পথে চলেছে, তবুও তার কথা ভেবে গর্ব বোধ করেন না, এমন যদি কেউ থাকেন, তবে তা’র না থাকাই উচিত।” যুবকটি উচ্ছসিত স্বরে বললে। লেডী স্যান্ন্যাল বিষন্ন মুখে বসে আমাদের আলাপ-আলোচনা শুনছিলেন; সহসা বোমার মত ফেটে পোড়ে বললেন, “আনন্দ আর গর্ব দুই হ’ত কেমন বুঝতাম, য়দি