পাতা:মোহন অম্‌নিবাস প্রথম খণ্ড.pdf/১২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কারাগারে মোহন > R> মিঃ বেকার কহিলেন, “পুলিসের অনেক কিছু সুযোগ আছে। তা’রা চেষ্টা করলে হয়তো বা কৃতকার্যও হতে পারে।” “পুলিস! পুলিসে যা করবে, তা আপনার কাজেই বুঝতে পারছি। কিন্তু কিছু প্রমাণ আছে কি না, কোন কু দসু ফেলে গেছে কি না, কোথায় আপনি তা’ অনুসন্ধান করবেন, না পাথরের মূর্তির মত দাঁড়িয়ে আছেন, এক পাও নড়ছেন না।” কুমার সাহেব অনুযোগ করিলেন। মিঃ বেকারের মুখে ক্লান্ত হাসি ফুটিয়া উঠিল। তিনি কহিলেন, “প্রিয় কুমার সাহেব! দসু মোহন পিছনে এমন কিছু ফেলে যাবে, যার বলে আমি তাকে ধরব বা সাজা দেবার কাজে লাগাবো, আপনি যদি তা আশা কোরে থাকেন, তবে ভুলে যান। কারণ দসু্যু মোহনের বিশেষত্বই ওইখানে। সে যা করে, তা’র কোন চিহ্নই পিছনে রেখে যায় না।” কুমার সাহেব হতাশ স্বরে কহিলেন, “তবে আমার কোন মণি-মুক্তাই আর ফিরে পাবো না? কোন আশাই নেই ও সবের? আমি পাঁচ লক্ষ টাকা দসু্য মোহনকে দিতে পারি, যদি সে সিন্দুকের রত্নগুলো আমাকে ফেরত দেয়। ওগুলো আমার কাছে অমূল্য। আমার অলঙ্কারও তার মধ্যে ছিল। আমি পাঁচ লক্ষ টাকা দেবো—যদি দসু ওগুলো আমাকে ফেরত দেয় ।” মিঃ বেকার ভূ-কুঞ্চিত করিয়া কহিলেন, “আপনি কি সত্য সত্যই ঐ প্রস্তাব করছেন।” “হা, হা, হাঁ! কিন্তু আপনি কেন জিজ্ঞাসা করছেন?” কুমার সাহেব জিজ্ঞাসা করিলেন। মিঃ বেকার কহিলেন, “আমি একটা উপায়ের কথা ভাবছি।” “কি উপায় ?” “আগে আমাকে কাজ করতে দিন। যদি না সক্ষম হই, তখন এসব কথা বলবো।” মিঃ বেকার কহিলেন, “আর-একটা কথা, আপনি পুলিসের কাছে আমার এখানে থাকার কথা বলতে পারবেন না। কারণ যা হয়ে গেল, তাতে আমার সুনাম তো আর বাড়বে না। বরং বদনামই হবে প্রচুর। তাছাড়া আপনি যদি ছোট সিন্দুকের মণি-মুক্তাগুলো ফিরে পেতে চান, তবে আমার সম্বন্ধে আপনাকে নীরব থাকতে হবে। রাজী?” ১১ কুমার সাহেব কহিলেন, “রাজী। কিন্তু কত দিন লাগবে?” oে _{。X^ 3. “তা কিছু বলা যায় না। আমি মাদ্রাজে না যাওয়া পর্যন্ত....ঠ কুমার সাহেব বাধা দিয়া কহিলেন, “প্রহরীদের ঘুম ভেঙেছে এবার।” একজনকে প্রশ্ন করিতে সে কহিল, “আমি কিছুই স্মরণ করতে পারছি না।” । “তুমি নিশ্চয়ই কোন লোককে দেখেছ?” প্রহরী কহিল, “না হুজুর, কোন লোককেই দেখিনি।” “চিন্তা কোরে দেখো ।” “না, কোন লোককেই দেখিনি।” “রাত্রে কি মদ খেয়েছিলে ?” “না হুজুর, মদ আমি ছুই না।” প্রহরীর চোখ ও মুখের অবস্থা দেখিয়া মিঃ বেকার নিঃসন্দেহ হইয়া কহিলেন, “নিশ্চয়ই