পাতা:মোহন অম্‌নিবাস প্রথম খণ্ড.pdf/১২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কারাগারে মোহন 3 ఫిసి মিঃ বেকার বিস্মিত হইয়া মোহনের নির্দেশ মত ডিমের মাথাটা ছুরি দিয়া কাটিয়া ফেলিলেন। তিনি সবিস্ময়ে দেখিলেন, ডিমের ভিতরটা একেবারে খালি; ডিমের মধ্যে একটা খুব পাতলা নীলবর্ণ কাগজ গুটানো রহিয়াছে। তিনি কাগজখানি টানিয়া বাহির করিয়া পড়িলেন, তাহাতে ছোট অক্ষরে লেখা আছে— “বন্দোবস্ত মত কাজ হয়েছে। কুমার পাঁচ লক্ষ টাকা দিয়েছেন, মকদ্দমা তুলে নিয়েছেন এবং তার মণি-মুক্তা ফেরত দেওয়া হয়েছে।” মিঃ বেকার স্তম্ভিত স্বরে কহিলেন, “পাচ লক্ষ টাকা।” মোহন মৃদু হাসিয়া কহিল, “হ বন্ধু, পাঁচ লক্ষ টাকাই বটে। কিন্তু কেমন দুঃসময় চলেছে এখন? তা ছাড়া আমার খরচ-পত্র অত্যন্ত বেশী। যদি আপনি আমার খরচের হিসাব ঠিক মত জানতেন, তা’ হ’লে বুঝতেন, একটা বড়ো শহরের জন্য গভর্নমেন্টের যে টাকা খরচ হয়, আমার খরচও প্রায় ততো।” - মিঃ বেকার উঠিয়া দাঁড়াইলেন। র্তাহার মনের শাস্তি চলিয়া গিয়াছিল। মোহনের বিবৃতিতে কোন গলদ আছে কি না, তিনি ক্ষণকাল মনে মনে চিন্তা করিয়া কহিলেন, "ভগবানকে ধন্যবাদ যে ভারতবর্ষে দশ বিশটা মোহন নেই, তা’ হ’লে আমাদের কারবার এন্ধ কোরে দিয়ে চলে যেতে হতো।” মোহন কহিল, “না, না, এমন আর আমি বেশি কী করতে পারি? তবে অবসর সময় কাটাবার জন্যে মাঝে মাঝে কিছু করতে হয় বইকি! তাছাড়া যে সময়ে আমি জেলে খাকি, সে সময়েই কাজ করবার সুবর্ণ সুযোগ পাওয়া যায়।” মিঃ বেকার কহিলেন, “তার মানে? তোমার আসন্ন বিচার, সাক্ষী-সাবুদ, জেরা, এত পল বিষয়ে চিত্তা কোরেও তোমার অবসর সময় কাটে না ?” - মোহন ধীরে ধীরে কহিল, “না। কারণ আমি স্থির করেছি, বিচারের সময় আদালতে উপস্থিত হবে না।” মিঃ বেকার বিদ্রুপ-হস্যে কহিলেন, “আহা, তাই না কি ?” মোহন পুনরায় কহিল, “না, আমি আদালতে হাজির হবো না।” “সত্যি ?” মিঃ বেকার জিজ্ঞাসা করিলেন। 父Y、· মোহন ভূ-কুঞ্চিত করিয়া কহিল, “আপনি কি সত্য সত্যই ভাবেন যে, জেলে পচবার জন মোহনের সৃষ্টি হয়েছে? এমন ধারণাও আমার পক্ষে অপমানজনক। মোহন যে কয়দিন স্ব-ইচ্ছায় জেলে থাকবে, মাত্র সেই কয়দিন, নইলে জগতে কারও সাধ্য নেই— ৩াকে একটা মিনিটও বেশী জেলে রাখতে পারে।” @* মিঃ বেকার বিদ্রুপ স্বরে কহিলেন, “এতই যদি ক্ষমতা, তা’ হ’লে জেলে না আসাই (৩ামার উচিত ছিল, মোহন।” মোহন উত্তেজিত স্বরে কহিল, “ও, আপনি সেই অহঙ্কারেই ফুলে আছেন—না? তবে ৭4ন মিঃ বেকার, আমার সম্মানিত বন্ধু মিঃ বেকার। মোহনের অঙ্গে হাত দেবার সাধ্য কারও পক্ষেই সম্ভব হতো না, যদি সে সে-সময়ে অপর একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ কাজে লাও না থাকতো।” - মিঃ বেকার কহিলেন, “তুমি উদ্ভট কথা বলছ, মোহন।” মোহন কহিল, “আপনার কি মনে পড়ে মিঃ বেকার, আমার সঙ্গে একটি তরুণীর মোহন (১ম)-৯ ---