পাতা:মোহন অম্‌নিবাস প্রথম খণ্ড.pdf/১২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মোহন অমনিবাস ססיכי কথা ? আমাকে সে মুগ্ধ করেছিল। বলতে আমার লজ্জা নেই, আমি তাকে প্রাণ দিয়ে ভালবেসেছি—আর একমাত্র এইজন্যই আমি সে সময়ে অত্যন্ত অন্যমনস্ক হয়েছিলাম, সেজন্য আপনার উপস্থিতি সেখানে দেখেও নিজের সম্বন্ধে সাবধান হইনি ? তাই আজ মোহন কথা শেষ করিল না। i মিঃ বেকার বিদ্রুপ স্বরে কহিলেন, “তা’ হ’লেও তোমার এখানে বহুদিন কে!ে গেছে।” মোহন কহিল, “আমি দস্য। আমি সেই নিরীহ, অপাপ-বিদ্ধ, অতুলনীয় তরু সম্পূর্ণ অনুপযুক্ত। তাই আমি তাকে ভুলে যেতে চাই। আমার মন আরোগ্য করতে চাই আজ পর্যন্ত আমার মনে সেই কয়টি দিনের মধুর স্মৃতি তেমনি রূপেই জেগে রয়েছে এর জন্যই মাঝে দিন কতক অসুখে ভুগেছি। আর জেলের মত এমন বিশ্রামের জায়গ আর কোথাও নেই। আমি এখানে বিশ্রাম করছি, মিঃ বেকার। এখানকার নিয়ম কানুন আমাকে আশাতীতভাবে আরোগ্য হতে সাহায্য করেছে! তাই আমি এখনও এখ আছি।” মিঃ বেকার কহিলেন, “তুমি আমার চোখে ধুলো দিতে চাইছ, মোহন।” “শুনুন, মিঃ বেকার,” মোহন কহিল, “আজ শনিবার। আগামী বুধবারে আমি আপনা। সঙ্গে ব্রডওয়ে হোটেলে একসঙ্গে আহার করবো। অর্থাৎ ঐ দিন আমি এখান হতে চন্ত্রে যাবো, বুঝেছেন?” মিঃ বেকার অবজ্ঞা হাস্যে কহিলেন, “উত্তম ? আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করবো। ইহার পর উভয়ে বন্ধুর মত করমর্দন করিল এবং তারপর মিঃ বেকার যাইবার জন্ম পাবাড়াইলে মোহন ডাকিল, “মিঃ বেকার?” ጙ মিঃ বেকার মুখ ঘুরাইয়া কহিলেন, “আবার কি বলছ, মোহন ?” “আপনি ঘড়ি ফেলে যাচ্ছেন।” মোহন কহিল। “আমার ঘড়ি ?” সবিস্ময়ে মিঃ বেকার কহিলেন। Šo. “হা, আপনার ঘড়ি। এইমাত্র আমার পকেটে কুড়িয়ে পেলাম।” বলিয়া মোহন ক্ষম প্রার্থনা করিয়া ঘড়ি ফেরত দিল। পুনরায় কহিল, “ক্ষমা করবেন,মিঃ বেকার। এ একটু বদ অভ্যাস জন্মে গেছে আমার। তাছাড়া আমার ঘড়ি আপনারা রেখে দিয়েছেন, কি সে অপরাধের জন্য আপনার ঘড়ি চুরি করবার আমার কোনও অধিকার যে নেই, সত্য। তাছাড়া আমার এখানে একটা সোনার ঘড়ি আছে, তাতেই আমার সময় দেখ কাজ সন্দুরভাবে চলে যায়।” বিছানার তলদেশ হইতে মোহন স্বর্ণ-চেন সমেত একটি সুন্দর সোনার ঘড়ি ব করিয়া দেখাইল। - মিঃ বেকার আশ্চর্য হইয়া কহিলেন, “ও ঘড়িটি কার পকেট থেকে মেরেছে, মোহন ?" মোহন ঘড়ির চেনের লকেটের উপর খোদাই নামটি পড়িয়া কহিল, “গোপাল আচারিয় লিঙ্গম। ওহো, যে ম্যাজিস্ট্রেট আমাকে পরীক্ষা করেছিলেন, এটা তারই ঘড়ি। অত্যন্ত্ৰ চমৎকার লোক তিনি।”