পাতা:মোহন অম্‌নিবাস প্রথম খণ্ড.pdf/১৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>○、 মোহন অমনিবাস এমন সময়ে একজন ওয়ার্ডার আসিয়া কহিল, “ড্রয়ার দেখেছেন? আমার মনে হ’ল, মোহন ড্রয়ারের মধ্যে যেন কিছু রাখলে।” অর্ধ মুক্ত ড্রয়ারে কিছু থাকিতে পারে না—এই বিশ্বাসে ডিটেকটিভ দুইজন তাহা উপেক্ষা করিয়াছিল, ওয়ার্ডারের কথায় পরীক্ষা করিতেই পূর্বোক্ত সিগারটি পাইয়া তাহারা আনন্দে চিৎকার করিয়া কহিল, “জয় ভগবান, পেয়েছি।” একজন ডিটেকটিভ কহিল, “না, না, সিগার এখানে ভেঙ্গো না, চল, কমিশনার সাহেবকে প্রথমে বলি। তিনিই পরীক্ষা করবেন।” অন্য ডিটেকটিভ কহিল, “কিন্তু চুরুটের মধ্যে কিছু পাওয়া যাবে কি?” কমিশনার চুরুট পাইয়া কয়েক মিনিট পরে তাহা ধীরে ধীরে খুলিতে লাগিলেন। ইতিমধ্যে ডিটেকটিভ দুইজন অপর ড্রয়ার হইতে পাওয়া কতকগুলি সংবাদপত্রের কাটিং, একটা পাইপ, কিছু তামাক ও দুইখানি পুস্তক বাহির করিলেন। কমিশনার আনন্দিত স্বরে কহিলেন, “এখন প্রত্যেকটি জিনিস পরীক্ষা কোরে দেখা বলিলেন, “মোহন দেখছি, খুব দামী সিগারের ধূম পান করে।” পরে দেখিলেন তাহাতে মেয়েলী হাতে লেখা রহিয়াছে ঃ– “৩৫৭৮ অন্যের স্থান গ্রহণ করছে। দক্ষিণ দিকের দেওয়ালে ধাক্কা দিলেই মুক্ত হবে। এম, সি অপেক্ষায় থাকবে। ২টা থেকে ৬টা প্রত্যহ। জবাব দিন। ভয় পাবেন না। আপনার বন্ধুরা সর্বদাই পথ চেয়ে আছে।” কমিশনার ক্ষণকাল চিন্তা করিয়া কহিলেন, “অর্থ বোঝা খুবই সহজ। ৩৫৭৮ হচ্ছে খুব সম্ভবতঃ প্রিজন ভ্যানের নম্বর। নয় কী ?” জেলের সুপার নিকটেই ছিলেন; কহিলেন, “হা” “তা’ হ’লেই দেখা যাচ্ছে, প্রিজন ভ্যানের দক্ষিণ দিকের দেওয়ালে দসু্যর সঙ্গীরা কিছু শয়তানি করেছে। তার সব পরিষ্কারভাবে বোঝা যাচ্ছে। কিন্তু এম. সি. কি? ও বুঝেছি, মোটর কার?” বলিয়া কমিশনার উঠিয়া দাড়াইলেন; কহিলেন, “মোহনের মধ্যাহ্ন ভোজন শেষ হয়েছে?” இல் ওয়ার্ডার কহিল, “হ্যা, স্যার।” പ്പ് - “তবেই দেখা যাচ্ছে, মোহন এখনও এই সিগারের সংবদ্ধ পায়নি। আরও বোঝা যাচ্ছে যে, সে সবেমাত্র এই সিগার পেয়েছিল, পড়বার সুযোগ পায়নি এখনও।” সুপার বিস্মিত হইয়া কহিলেন, “কিন্তু সিগার এলো কোন পথে? কোন উপায়ে?” কমিশনার কহিলেন, “আমি তা’ কি কোরে বলবো? এমন ত হতে পারে, তার খাবারের সঙ্গে কিম্বা সিদ্ধ আলুর তালের মধ্যে।” সুপার কহিলেন, “অসম্ভব। আমরা এই ভেবে মোহনকে বাইরের খাবার খেতে অনুমতি দিয়েছিলাম যে, ওর সম্বন্ধে অনেক নতুন খবর শুনতে পাবো। কিন্তু ওর খাবার পরীক্ষা কোরে আমরা কিছুই পাইনি।” কমিশনার কহিলেন, “এ কাজ করুন—যাতে আমরা এই সিগার-পত্রের উত্তরে মোহনের জবাব সন্ধ্যার মধ্যে পেতে পারি, তার বন্দোবস্ত করুন! আমি এই পত্র এখনি মিঃ গোপাল আচারিয়া লিঙ্গমের কাছে নিয়ে যাচ্ছি, তিনি যদি বলেন, তা’ হ’লে এর ফটোগ্রাফ তুলে ।