পাতা:মোহন অম্‌নিবাস প্রথম খণ্ড.pdf/১৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কারাগারে মোহন סיסיפי নেব। পরে অবিকল এই ব্রান্ডের অন্য সিগারের মধ্যে পত্ৰখানা রেখে মোহনের ড্রয়ারে রেখে দেবো। এমনভাবে কাজ করতে হবে, যেন ওর সন্দেহ না হয় যে, আমরা এ বিষয়ে কিছু অবগত হয়েছি। ইতিমধ্যে মোহনকে সেলের বাইরে রাখবার বন্দোবস্ত যেন হয়।” সুপার কহিলেন, “আপনার আদেশ মতই কার্য হবে।” (سالا) পুলিশ কমিশনারের আদেশ মত মোহনের সেদিনের রাত্রের উচ্ছিষ্ট খাবার ডিটেকটিভ ডিপার্টমেন্টের ল্যাবরেটরীতে আনীত হ’ল। -*. দুইজন বিখ্যাত বৈজ্ঞানিক ডিটেকটিভকে দিয়া অবশিষ্ট উচ্ছিষ্ট খাবার পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে পরীক্ষা করাইলেন; কিন্তু কিছুই সন্দেহজনক পাওয়া গেল না। বাসন-কোসনও পরীক্ষা করা হইল, কিছুই পাওয়া গেল না। অবশেষে একটি ছুরির তলদেশের ফাপা অংশের মধ্য হইতে পাতলা কাগজে লেখা একখানি পত্র বাহির হইল। পুলিস-কমিশনার আনন্দে অস্ফুট চিৎকার করিয়া উঠিলেন। কহিলেন, “মোহনের মত দস্যুর পক্ষে এরূপভাবে পত্র পাঠানো ছেলেমানুষি হয়েছে। যাই হোক, কি লিখেছে দেখা যাক।” তিনি পত্ৰখানি পাঠ করিলেন। তাহাতে লেখা ছিল ৪— “আমি তোমার ওপর নির্ভর করছি। এম, সি প্রত্যহই যেন একটু দূরে দূরে থাকে। আমি সম্মুখের দিকে অগ্রসর হবো। শীঘ্র সাক্ষাৎ হবে।” তোমার প্রিয়তম বন্ধু মোহন “অবশেষে তোমাকে ধরেছি, মোহন!” পুলিস-কমিশনার মহানন্দে চিৎকার করিয়া উঠিলেন। “যাই হোক, এতদিনে আমরা ওর বিষয়ে জানতে সক্ষম হয়েছি, আমাদের পক্ষে আশাতীত সাফল্য বলতে হবে।” একজন ডিটেকটিভ কহিল, “এবার ওকে পালাবার একটু সুযোগ দিতে পারলেই ওর wলবল সবাইকে আমরা গ্রেফতার করতে সক্ষম হবো, স্যার।” இ - কমিশনার কহিলেন, “কিন্তু ও যা’ চালাক, আমাদের চোখে যদি ধুলো য়ৈ সরে পড়ে তা’ হ’লে ?” *... ് ডিটেকটিভ কহিল, “সে জন্য আমাদের বহু লোকের বন্দোরস্ত করতে হবে ওর ওপর মজর রাখবার জন্য। তাতেও যদি বেশী চালাকী কোরে পালাবার মতলব করে, তা’ হ’লে ওকে নিজের কর্মের ফল ভোগ করতে হবে।” কমিশনার কহিলেন, “সে ক্ষেত্রে ওকে গুলি করতেও যাতে দ্বিধা না করে তেমন হুকুম দিয়ে রাখবো। তাছাড়া ওকে আমার কিছুতেই কোন বিষয় স্বীকার করাতে পারিনি, ওর সহকারীদের ধরতে পারলে আমাদের কাজ সহজ হয়ে আসবে।” মোহন আদৌ বেশী কথা কহে না। ম্যাজিস্ট্রেট তাহাকে নানাভাবে জেরা করিয়াছিলেন, কিন্তু কিছুই জানিত পারেন নাই। উপরন্তু তিনি আদালতের একজন বিখ্যাত উকিলকে পর্যন্ত সঙ্গে লইয়া মোহনকে জেরা করিয়াছিলেন, কিন্তু কোনও ফলই ফলে নাই। এক এক সময়ে জেরার উত্তরে মোহন নম্রস্বরে বলিত, “আপনাদের কথাই সত্য, স্যার। আমি