পাতা:মোহন অম্‌নিবাস প্রথম খণ্ড.pdf/১৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՖՎյե- মোহন অমনিবাস কক্ষে বাতাসের অপ্রতুলতা সম্বন্ধে অভিযোগ জানাইল। তাহাকে জেলের উঠানে ব্যায়াম కళా రాణాళి శాణా శాశిగా జా মোতায়েন | ইতোমধ্যে জনসাধারণের উৎসাহ বিন্দুমাত্রও হ্রাস পায় নাই। তাহারা প্রতিদিনই মোহনের পলায়নের বার্তার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করিতেছিল। সাধারণের দৃঢ় ধারণা জন্মিয়ছিল যে, মোহন নিশ্চয়ই পলায়ন করিবে। মোহন সাধারণের মনে তাহার জন্য যে সন্ত্রম, আশা, যে উদ্দীপনা, যে শ্রদ্ধার ভাব উত্তপ্ত করিতে সক্ষম হইয়াছিল, তাহা পরম বিস্ময়কর বলিলেও অত্যুক্তি করা হয় না। তাহদের ধারণা জন্মিয়াছিল মোহন পলায়ন করিবেই। ইহা অনিবার্য। এমন কি, জনসাধারণ এই ভাবিয়া বিস্মিত হইতেছিল যে মোহন ইচ্ছা করিয়া প্রত্যহ দিন পিছাইয়া দিতেছে কেন ? - প্রত্যহ প্রাতঃকালে পুলিস-কমিশনার তাহার সেক্রেটারীকে জিজ্ঞাসা করেন, “মোহন এখনও যায়নি?” সেক্রেটারী বলেন, “না, স্যার।” “যাক, বিপদ কেটে যাচ্ছে!” কমিশনার হাসিয়া কহিলেন। বিচারের একদিন পূর্বে একজন ভদ্রলোক “হিন্দু’ কাগজের সম্পাদকের সহিত দেখা করিতে চাহিলেন। তাহাকে সম্পাদকের নিকট লইয়া যাওয়া হইলে তিনি একখানা কার্ড সম্পাদকের টেবিলের উপর ছুড়িয়া দিয়া দ্রুতপদে কক্ষ হইতে বাহির হইয়া গেলেন। পরদিন প্রভাতে হিন্দু কাগজে এ কার্ডের ইতিহাস বর্ণিত হইল! (২০) আদ্য মোহনের বিচারের দিন। চারিদিকে উত্তেজনা,উদ্বেগ, শঙ্কার ভিতর দিয়া ইতিহাস প্রসিদ্ধ বিচারের দিন উপস্থিত হইল। আদালত কক্ষ লোকে লোকারণ্য হইয়া গেল। অবশেষে স্থান সঙ্কুলান না হওয়ায় কোর্ট-পুলিস বিচার-কক্ষের দ্বার বন্ধ করিয়া দিল। আশা, একবার তাহারা মোহনকে দেখিবে। সকলেই আশা করিতেছিল, মোহন তাহার কথা নিশ্চয়ই রাখিবে, বিচারের জন্য আদালতে সে নিশ্চয়ই উপস্থিত হইবে না। আদালতের বাহিরে সমবেত মহতী জনতার কথা, তর্ক, আলোচনা একত্রে মিশ্রিত হইয়া সমুদ্র কল্লোলের মত একটা শব্দ-তরঙ্গ আকাশে উত্থিত হইল। XX সাধারণের উত্তেজনা লক্ষ্য করিয়া পুলিস এক ঢাকা ভ্যানে করিয়া মোহনকে লইয়া জেলের ওয়ার্ডারগণসহ আদালত-কক্ষের পশ্চাদ্বার দিয়া প্রবেশ করিয়া মোহনকে আসামীর ডকে প্রবেশ করাইয়া দিল। তখন বৃষ্টি পড়িতেছিল; আকাশে আলো অপ্রচুর থাকায় আদালত-কক্ষে মোহনকে বেশ স্পষ্টভাবে দেখা যাইতেছিল না। যে উকিল-ভদ্রলোক সস্তায় নাম কিনিবার জন্য স্বতঃপ্রবৃত্ত হইয়া মোহনের পক্ষ সমর্থন করিবেন বলিয়া অনুমতি লইয়াছিলেন, তিনি ডকের নিকট গমন করিয়া নিম্ন স্বরে মোহনকে বারবার প্রশ্ন করিয়াও প্রশ্নের উত্তর পাইলেন না। মোহনকে দেখিয়া মনে