পাতা:মোহন অম্‌নিবাস প্রথম খণ্ড.pdf/১৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কারাগারে মোহন Ֆ :, হইতেছিল, সে যেন অত্যন্ত অসুস্থ। সে সোজা হইয়া বসিতে পারিতেছিল না, তাহার মস্তক অবিরত বক্ষের উপর ঝুলিয়া ঝুলিয়া পড়িতেছিল। উকিল মহাশয় অবশেষে বিরক্ত হইয়া হাল ছাড়িয়া দিলেন ও বিচারককে কহিলেন, “হুজুর, আমার মক্কেলকে অত্যন্ত অসুস্থ বোলে মনে হচ্ছে। আমি বহু চেষ্টা করেও একটা প্রশ্নের জবাবও পেলাম না। সুতরাং আমার প্রার্থনা এই যে, আমার মক্কেলকে ডাক্তার দিয়ে পরীক্ষা করা হোক।” বিচারক উকিলের এই প্রার্থনায় কর্ণপাত করিলেন না। তিনি মৃদু হাসিয়া কহিলেন, “আপনার মক্কেল যে এখানে বর্তমানে সবার চেয়ে সুস্থকায় ব্যক্তি, তা’ এখনি দেখতে পাবেন। - হতে কোন উপদেশ পাইনি। সেক্ষেত্রে আমার পক্ষে—” বিচারক মৃদু হাস্যে বাধা দিয়া কহিলেন, “আসামীর পক্ষ গ্রহণ করা অসম্ভব। উত্তম, আপনি উপবেশন করুন। আমি এ কেস আর পাঁচটা মিনিটের জন্যও স্থগিত রাখতে দেবো না।” উকিল মহাশয় আর একবার বৃথা প্রতিবাদ জ্ঞাপন করিয়া হতাশ হইয়া বসিয়া পড়িলেন। জনতায় পরিপূর্ণ আদালত-কক্ষ রুদ্ধ-নিঃশ্বাসে মেঘ-ঘন স্বল্পালোকে আসামী মোহনকে উত্তমরূপে দেখিবার জন্য বৃথা চেষ্টা করিতেছিল, কিন্তু মোহন নত মুখে অন্যমনস্কভাবে উপবেশন করিয়া থাকায় তাহদের বাসনা পূর্ণ হইতেছিল না। মোহন তাহার প্রতিজ্ঞা রাখিতে পারে নাই বলিয়া তাহদের বিফল-প্রত্যাশা ক্ষুদ্ধ মন স্বতঃই সম্পূর্ণ অজ্ঞাত কারণে বিচারকের বিরুদ্ধে, জেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রভাবিত হইয়াছিল এবং যখন বিচারক মোহনের উকিলের আবেদন অগ্রাহ্য করিয়া মামলা স্থগিত রাখিতে অস্বীকৃত হইলেন, তখন একটা অশান্ত গুঞ্জন-ধ্বনি সারা কক্ষে উখিত হইল। বিচারক কঠিন দৃষ্টিতে জনতার দিকে চাহিয়া তাহদের নীরব থাকিতে আদেশ দান করিলেন। জনতা ও আইনজীবীগণের গুঞ্জন-ধ্বনি অকস্মাৎ স্তব্ধ হইয়া গেল। নাম, বয়স আর পেশা বলো।” o কিন্তু বিচারকের আদেশে আসামী কোনও সাড়া দিল না। বিচারক পুনরায় কহিলেন, “তোমার নাম কী?” ® একটা শ্রান্ত ও জড়িত স্বর আসামীর কাঠগড়া হইতে বাহির হইল, “নীলকমল দে।” সঙ্গে সঙ্গে আদালত-গৃহ জনতার গুঞ্জন-ধ্বনিতে পূর্ণ হইয়া উঠিল এবং বিচারক মুখ তুলিয়া চাহিতেই মুহুর্ত মধ্যে নীরব হইয়া গেল। “নীলকমল দে? নামটা তোমার নতুন আবিষ্কার? আমরা অবগত আছি, অন্ততঃ তোমার দশটা ছদ্ম-নাম আছে। এ নামটায় আর একটা সংখ্যা বাড়লো। সে যাই হোক, তোমাকে আমরা সবচেয়ে বিখ্যাত নাম মোহন বোলেই ডাকবো। আশা করি, তাতে তোমার আপত্তি হবে না।” বিচারক শ্লেষ-মিশ্রিত স্বরে কহিলেন। বিচারক তাহার কাগজ-পত্রে চক্ষু বুলাইয়া পুনরায় বলিতে লাগিলেন, “বন্দী, যথাসাধ্য চেষ্টা কোরেও তুমি কে, আজ পর্যন্ত আমরা জানতে পারিনি। তুমি এমন একজন লোক, వ్రై o) శ్రీ",