পাতা:মোহন অম্‌নিবাস প্রথম খণ্ড.pdf/১৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

չ8Ե 与 মোহন অমনিবাস সভা ভঙ্গ হইল। সকলেই চিন্তিত মুখে বাহির হইয়া গেলেন। । (২২) দিনের পর দিন, সপ্তাহের পর সপ্তাহ করিয়া একটি মাস অতিবাহিত হইয়া গেল, তবু দসু মোহন সম্বন্ধে কিছুই অবগত হওয়া গেল না। তাহার দন্তপূর্ণ ভবিষ্যদ্বাণী “আমি বিচারের সময় আদালতে উপস্থিত থাকিব না,” উহা সম্পূর্ণরূপে সত্য বলিয়া প্রমাণিত হইল। নীলকমলকে নানারাপ জেরা করিয়া, ভয় দেখাইয়া কোন কিছু বাহির করা দূরে থাকুক, তাহার চক্ষু হইতে নিদ্রার আমেজ পর্যন্ত দূর হইল না। মানুষ যে এরূপ ভাবে আহার ও দুএকটা কাজের সময় ব্যতীত সারাক্ষণ নিদ্রা যাইতে পারে, ইহাও কল্পনাতীত ঘটনা। তাহাকে সাজা দিবার মত কোন প্রমাণই যখন নাই, তখন তাহাকে আর কতদিন এমনভাবে আটক করিয়া রাখিয়া রাখা যাইতে পারে? সুতরাং ম্যাজিস্ট্রেট একদিন তাহাকে মুক্তি দিবার আদেশ দিলেন। মিঃ বেকার ও র্তাহার দুইজন সহকারী পূর্ব হইতে প্রস্তুত হইয়াছিলেন; যে মুহুর্তে একদিন শীতের কুয়াসাচ্ছন্ন প্রভাতে নীলকমলকে জেল হইতে বাহির করিয়া দেওয়া হইল, র্তাহারা সেই মুহুর্তে তাহার পিছু লইলেন। মিঃ বেকারের দৃঢ় বিশ্বাস হইয়াছিল যে, নীলকমল দসু মোহনের হাতের তাস। সুতরাং তাহার পিছুলওয়া হইলে তাহারা দসু মোহনের আড্ডার খবর না জানাতেও পারেন, কিন্তু মোহনের কোন সহচরের সংবাদ পাওয়া এতটুকু বিচিত্র হইবে না। তাহারা মোহনের নিকট হইতে বা নীলকমলের মত একটা নিবোধ নিরেট লোকের কাছ হইতে কোন কথা বাহির করিতে না পারিলেও তাহার অন্য সহচর বা সহচরদের নিকট হইতে তাহা পরিবেন না, তাহা কে বলিতে পারে? সুতরাং মিঃ বেকার এই শেষ পন্থা গ্রহণ করিলেন। মিঃ বেকারের এই যুক্তি পুলিস-কমিশনার সর্বাস্তঃকরণে গ্রহণ করিয়াছিলেন এবং অন্য দুইজন বিখ্যাত ডিটেকটিভকে তাহার সহিত পাঠাইয়া দিলেন। કૈંક নীলকমল জেল হইতে ছাড়া পাইয়া ফটকের বাহিরে আসিয়া পা ঘষিতে লাগিল। তাহার মুখ-ভাব দেখিয়া স্পষ্টই ধারণ হইল, সে যে মুক্তি পাইয়া সুখী হয় নাই। সে বার বার সতৃষ্ণ নয়নে জেল-ফটকের ভিতর দিয়া দেখিতে লাগিল, অবশেষে যখন বুঝিল যে, লাগিল। নীলকমলের চলন-ভঙ্গী দেখিয়া ধারণা করা কিছুমাত্র কঠিন ছিল না যে, সে কি করিয়া সময় কাটাইবে বা কি করিবে, কোথায় যাইবে, কোন নিশ্চিন্ত ধারণা তাহার ছিল না। সে ধীরে ধীরে চলিতে চলিতে একটা চীনা বন্দকী দোকানের (Pawn Shop) নিকট খুলিয়া কয়েক আনা পয়সার বিনিময়ে বন্ধক করিল এবং বাহিরে আসিয়া ধীরে ধীরে চলিতে আরম্ভ করিল। নীলকমল বহু পথ ঘুরিয়া অবশেষে বাস স্ট্যান্ডের নিকট উপস্থিত হইল। একটা লোকারণ্য বাসে দৌড়াইয়া উঠিতে গেলে বাস কন্ডাক্টর কহিল, “এ গাড়ীতে আর জায়গা