পাতা:মোহন অম্‌নিবাস প্রথম খণ্ড.pdf/১৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

እ ¢ ¢ .彎r了, | ও রমা (S) বেনারস পৌছে হতাশ হলুম। দেখলুম, আমি যার জন্য উন্মাদের মত কলকাতা থেকে বেনারসে ছুটে এলুম, মাত্র কয়েক ঘণ্টা পূর্বে সে তার এক আত্মীয়ের সঙ্গে এলাহাবাদে চলে গেছে। সুতরাং এক মিনিটও বেনারসে থাকবার আমার ইচ্ছা হলো না। আমার মোটরকার বেনারস থেকে এলাহাবাদে বুক কোরে দিলুম এবং স্নানাহার সেরে পরের ট্রেন ধরবার জন্য মোগলসরাইয়ে উপস্থিত হলুম। একখানা প্রথম শ্রেণীর টিকিট কেটে একটা প্রথম শ্রেণীর কক্ষে উপস্থিত হয়ে দেখলুম, কামরা ৬/৭ জন গোরা আরোহীতে ভর্তি রয়েছে। এমন ভিড়ে যাত্রা করতে ইচ্ছা হ’ল না। আমি অন্য কামরার অনুসন্ধানে গিয়ে দেখলুম, একটি খালি কামরায় মাত্র একজন আধুনিক মহিলা ভিতরে বসে আছেন, আর সম্ভবতঃ তার স্বামী তাকে বিদায় দিতে এসেছেন, প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে কথা বলছেন। আমাকে প্রবেশ করতে দেখে মহিলাটি বিরক্তিপূর্ণ দৃষ্টিতে আমার দিকে একবার চেয়ে র্তার স্বামীকে কিছু বললেন। কিন্তু তার স্বামী আমাকে বিশেষভাবে লক্ষ্য কোরে, বোধ হয় তাকে এই বোলে অভয় দিলেন যে, উনি ভদ্রলোক, তোমার কোন ভয়ের কারণ নেই। পরমুহুর্তে মহিলাটি আবার হাস্যমুখে স্বামীর সঙ্গে আলাপ করতে লাগলেন। মহিলাটির চক্ষুতে প্রথমে যে শঙ্কার ছায়া দেখেছিলাম, আর তা দেখলুম না। তিনি কয়েকবার আমার দিকে বন্ধুর দৃষ্টিতে চেয়ে দেখলেন। মনে হল, তাঁর মনে এই ধারণা বদ্ধমূল হয়েছে যে, আমি এমন একজন সুসভ্য ভদ্রলোক, যার সঙ্গে দু-এক ঘণ্টা যে কোন মহিলা, ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারেন। কোনও কিছু ভয় করবার কারণই উদ্ভব হয় না। তাঁর স্বামী সহসা অনুচ্চস্বরে বললেন, “তা হলে আমি এখন আসি, আমার আবার আদালতের সময় হয়ে আসছে।” মহিলাটি বললেন, “তোমার আদালত বন্ধ হ’লেই সেইদিনই এলাহাবাদে চলে আসবে। . একটা মিনিটও দেরী আমি সইবো না, তা বোলে রাখছি।” ভদ্রলোক নিম্নস্বরে হাস্যমুখে কি বললেন, আমি শুনতে পেলুম না;কিন্তু মহিলাটির মুখ আরক্ত হয়ে উঠল, একবার অনিচ্ছিক দৃষ্টিপাতেই দেখতে পেলুম। একটু পরেই