পাতা:মোহন অম্‌নিবাস প্রথম খণ্ড.pdf/১৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মোহন ও রমা > どQ ও রেলের কর্মচারীরা ছুটে আসবে। তখন তাদের...আপনি যা দেখেছেন, সব বলবেন। বেশি কথা বলতে যাবেন না, সময় নষ্ট হবে তাতে। সামান্য কথায়—দসু্য আমাকে কেমন কোরে আক্রমণ করলে, আমাকে বেঁধে রাখলে, তারপর আপনার গহনা ও আমার টাকা সব লুট করে নিলে, বেশ অল্প কথায় তাদের বুঝিয়ে দেবেন। তার আকৃতির বিবরণ দেবেন—বলবেন, তার হাতে একটা নরম টুপি, একটা ছাতা আর একটা ধূসর বর্ণের ওভারকেট গায়ে আছে। - মেয়েটি প্রতিবাদ করে বললেন, “ওভারকোট তো আপনার—সে চুরি করেছে?” “আমার? না,না, আমার নয়, তারই। আপনি দেখতে ভুল করেছেন।”আমি প্রতিবাদ করলুম। মেয়েটি চিন্তিত মুখে বললেন, “কিন্তু আমার যেন মনে পড়ছে, তার গায়ে কোন ওভারকোট ছিল না। ওটা নিশ্চয়ই আপনার। আপনি ভেবে দেখুন।” আমি হতাস হয়ে বললুম, “কি মুশকিল। আমার জিনিস আমি চিনি না? আর আমার ঞ্জিনিস চোরের বলে চালিয়ে দেবো? আপনি মাথা ঠিক করুন, আমি যা বলি মন দিয়ে শুনুন। নইলে সব গোলমাল কোরে ফেলবেন। তাহলে আপনার শখের গহনাও উদ্ধার হবে না, চোরও ধরা পড়বে না, আর আমারও সর্বস্ব যাবে।” মেয়েটি অপ্রতিভ হয়ে বললেন, “হা, হাঁ, বুঝেছি, আমি তখন ভাল কোরে দেখিনি। এখন মনে পড়ছে, ওভারকোটটা তারই। এখন শীঘ্র বলুন, আর কি বলতে হবে। মেল প্রায় চলে এসেছে।” - আমি উৎসাহ সহকারে বললুম, “বেশ, ধূসর বর্ণের ওভারকোট গায়ে, আপনার ছাতা হাতে—হা, আর দেখবেন, যেন ধূসর বর্ণের ওভারকেট বলতে ভুলবেন না। সেইটেই হচ্ছে আসল কথা দসু্যকে চিনে বার করতে। তারপর আপনার নাম ও পরিচয় প্রথমেই দেবেন। আপনার স্বামী যে জজ, সে কথা বলতে যেন ভুলবেন না। কারণ আপনার স্বামীর যা পদ-মৰ্যাদা, পুলিস শুনলে আর এ-কাজে কোন গাফিলতি দেখাতে পারবে না। গুঝেছেন তো?” - - So, মেয়েটি বললেন, “নিশ্চয়ই বুঝেছি! আমি প্রথমেই বলবো,আমি হাইক্লোর্টের জজের । তাছাড়া এখানের পুলিস কমিশনার আমাকে চেনেন। সেবারে তিনি যখন একটা...” আমি বাধা দিয়ে বললুম, “ও সব কথা পরে শুনবো। এখন শুনুন, ট্রেন এসে পড়ল এদিকে ” (~ আমি চিৎকার কোরে প্রত্যেকটি শব্দের ওপর জোর দিয়ে বলতে লাগলুম, “শুনুন, গলবেন আমার নাম মিঃ বি, এল, হালদার। আমি একজন বাঙলার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট। গদি প্রয়োজন হয় বলবেন, আপনার সঙ্গে আমার পরিচয় আছে। তাতে অনেক সময় Mi৮বে। কারণ যত সংক্ষেপে এ-সব কাজ শেষ কোরে দসু্যর পিছনে ছুটতে পারা যায়, v৩ই আমাদের পক্ষে মঙ্গল। হা, শুনুন—বলবেন, আপনি বলবেন যে, আমি মিঃ হালদার আপনার স্বামীর বন্ধু। বুঝেছেন? তাতে কিছু অনিষ্ট হবে না,অথচ সময় বাঁচবে। আসল এখা, দসুর গ্রেফতার আর আপনার গহনার উদ্ধার–বুঝেছেন?” - জজ গৃহিণী উৎসাহ সহকারে বললেন, “নিশ্চয়ই বুঝেছি। আমাকে আর অমন কোরে