পাতা:মোহন অম্‌নিবাস প্রথম খণ্ড.pdf/১৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মোহন অমনিবাস טיטי כי পাখী পড়াতে হবে না। আমি বলবো, আপনি মিঃ হালদার ম্যাজিস্ট্রেট, আমার স্বামী অন্তরঙ্গ বন্ধু। কেমন এই কথা তো? আরও বলবো, দসু মোহনের গায়ে ধূসর রে ওভারকোট আছে। এই তো?” - “চমৎকার!” আমি বললুম। মহিলাটির দিকে আমি প্রশংস দৃষ্টিতে চেয়ে পুনরায় বললুম, “এইবার ট্রেন প্ল্যাটফরমে প্রবেশ করছে, আপনি প্রস্তুত হয়ে নিন। ধূসর বর্ণের ওভারকোট এবং আমার নাম মিঃ হালদার, আপনার স্বামীর বিশেষ বন্ধু, আপনার পরিচিত আমি। বুঝেছেন?” - আর বলবার প্রয়োজন ছিল না। যে মুহুর্তে ট্রেন গতিবেগ হ্রাস কোরে প্ল্যাটফরমে প্রবেশ করতে আরম্ভ করলে, জজ-গৃহিণী জানালা দিয়ে মাথা গলিয়ে চিৎকার করতে আরম্ভ করলেন। মেল থামতে না থামতে একজন ভদ্রলোক লাফিয়ে আমাদের কামরায় প্রবেশ করলেন ও তার পিছনে বহু ব্যক্তি প্রবেশ করলেন। সকলকেই পুলিসের লোক বোলে মনে হ’ল। এইবার সন্ধিক্ষণ উপস্থিত হ’ল। আমাদের আক্রমণ করেছিল—আমি হচ্ছি মিসেস লীলা মিত্ৰ—হাইকোর্টের জজের স্ত্রী— এই যে মিঃ কমিশনার—আমাদের সর্বনাশ হয়ে গেছে—এই যে আমার ছোট ভাই ও আমাকে নিতে এসেছে।” বলে তিনি একটি কিশোরকে, যে ছেলেটি কমিশনারের কামরায় উঠেছিল, কাছে টেনে নিলেন এবং পুনরায় কাঁদতে আরম্ভ করলেন, “হা, বি বলছিলুম ? দসু মোহনের কথা—সে এই ভদ্রলোক যখন ঘুমুচ্ছিলেন, ওঁকে কোরে মেরে ফেলেছিল আর কি! ইনি আমার স্বামীর বিশেষ বন্ধু, ম্যাজিস্ট্রেট হালদার।” - কমিশনার জজ-গৃহিণীকে অভিবাদন কোরে বললেন, “কিন্তু কোথায় দস্য মোহন ?” “সে প্রয়াগের পরেই ট্রেন থেকে লাফিয়ে পালিয়ে গেছে।” মহিলাটি বললেন। } . জানেন ?” - s KSS মহিলাটি যেন আকাশ হতে পড়লেন, “বলেন কী। আমি তাকে চিনি না? যে আমি তাকে দেখেছি, চিনতে পেরেছি। তাছাড়া তাকে মোগলসরাইয়ে একটি কেরানী চিনতে পেরেছিল, তার মাথায় একটা নরম টুপী...” ঔ “না, শক্ত ফেন্ট হ্যাট, ঐ ভদ্রলোকের মত।” কমিশনার আমার টুপির দিকে চেয়ে নির্দেশ করলেন। মহিলা প্রতিবাদ কোরে বললেন, “না, না, শক্ত নয়, নরম। আমি আবার টুপি না? যখন বিলাতে ছিলুম, তখন...হাঁ যা বলছিলুম, নরম টুপি আর ধূসর বর্ণের “হাঁ, ঠিক বলেছেন। কমিশনার অস্ফুট কষ্ঠে বললেন, “টেলিফোনে সংবাদ পেলুম ধূসর বর্ণের ওভারকোট আর লাল রঙের ভেলভেট কলার তার পরিধানে ছিল।” “লাল রঙের ভেলভেট কলার তো? তা’ হ’লেই ঠিক হয়েছে।” মহিলাটি