পাতা:মোহন অম্‌নিবাস প্রথম খণ্ড.pdf/১৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মোহন ও রমা Ֆ Ն, Գլ ঘোষণা করলেন । আমার নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস সহজ হয়ে এলো। ভাবলুম, মহিলার ঋণ আমি জীবনে শোধ করতে পারবো না, এমন ভাবে বন্ধুর কাজ কয়জনে করতে পারে? ইতোমধ্যে পুলিস অফিসাররা আমার বন্ধন খুলে দিয়েছিল। আমি দাঁত দিয়ে ঠোঁট দুটো এমন ভীষণ জোরে চেপে ধরলুম যে রক্ত বার হ’ল। আমি মুখে হাত বুলোতে বুলোতে কুঁজো হয়ে কোনও রকমে দাঁড়াবার বার বার চেষ্টা কোরে এবং অক্ষম হবার ভান দেখিয়ে বললুম, “স্যার, সেই দস্যুটা যে মোহন, তাতে আমারও কিছুমাত্র সন্দেহ নেই। আপনি তাকে এখনই ধরতে পারেন, যদি তাড়াতাড়ি কাজ আরম্ভ করেন। তা, ছাড়া আমিও আপনাকে এ-বিষয়ে সাহায্য করতে সক্ষম হবো বলে আমার বিশ্বাস।” যে-কামরায় আমরা ছিলুম, তা’ পুলিসের দ্বারা পরীক্ষা করার প্রয়োজন হওয়ায় মেল ঐ কক্ষটাকে কেটে রেখে চলে গেল। আমরা পুলিস-কমিশনারের সঙ্গে স্টেশন মাস্টারের অফিসের মধ্যে গমন করলুম। প্ল্যাটফরম লোকারণ্য হয়ে গিয়েছিল। আমার মন দ্বিধা-জড়িত হয়ে উঠল। আমি ভাবলুম, যে কোন অজুহাতে আমার এখন সরে পড়াই উচিত। আমার পূর্বে পাঠানো মোটরকার নিশ্চয়ই আমার জন্য অপেক্ষা করছে। একবার এখান থেকে বার হতে পারলে আমাকে পায় কে ? কিন্তু কি উপায়ে ? ইতোমধ্যে যদি কলকাতা থেকে কোন টেলিগ্রাম এসে পড়ে আমার বর্ণনা দিয়ে, আমার ছদ্মবেশী ম্যাজিষ্ট্রেটের পরিচয় দিয়ে, তা হলেই আমি গেছি একেবারে! কিন্তু যে দসু্য আমার অর্থ এবং অমূল্য পকেট-বই চুরি কোরে পালালো, তার সম্বন্ধেই বা কি করা যায়? বিশেষ কোরে আমি এই অঞ্চলের পথঘাট ভালভাবে চিনি না। আমার মন সহসা হতাশায় ভরে গেল। সহসা আমার মন আমাকে ভৎসনা কোরে বললে, “বাঃ কি সুন্দর যুক্তি! দসু্যু মোহনও মাথায় হাত দিয়ে ভাবে! তা’ কি হয় কখনও? বিপদের মুখে ঝাপিয়ে পোড়েই যে আনন্দ পায়, তার এরূপ হতাশ ভাব, নিশ্চেষ্টতা শোভা পায় কী? যদিও এই যুদ্ধে জয়লাভ করা কঠিন, তবু আনন্দ আছে, প্রেরণা আছে এবং যে জন্য, যে অমূল্য পকেটবুকের জন্য এই যুদ্ধ, তার সার্থকতার আর সীমা নেই।” ృతి আমাদের দ্বিতীয়বার পুলিসের নিকট ঘটনার বিবরণ দিতে হল। তারা ডায়েরীতে তা' লিপিবদ্ধ করে নিলেন। আমি সকল সঙ্কোচ কাটিয়ে দ্বিধাহীন সরল কণ্ঠে বললুম, “মিঃ কমিশনার, দসু মোহন আমাদের চোখে ধুলো দিয়ে পালতে সক্ষম হবার পূর্বে আমি আপনাকে সবিনয় অনুরোধ করছি,আসুন, আপনি আমাকে একটু সাহায্য করুন। আমার মোটর স্টেশন-ইয়ার্ডে আছে;আপনি যদি দয়া কোরে আমার সঙ্গে যান, তাহলে আমি শাখা দিচ্ছি, মোহনকে নিশ্চয়ই গ্রেফতার করতে সক্ষম হবো।” কমিশনার মৃদু হাস্য করলেন। হাসির ভিতর দিয়ে তিনি বোঝাতে চাইলেন যে, কি করতে হবে বা কি করা কর্তব্য, তিনি আমার অপেক্ষা উত্তমরূপে অবগত আছেন। ৭ললেন, “মন্দ যুক্তি নয়—উত্তম যুক্তি আপনার; কিন্তু কথা কি জানেন, আমার দুজন এhসার বাইসাইকেল কোরে বহু পূর্বেই চলে গেছেন।” "চলে গেছেন?” আমি সবিস্ময়ে প্রশ্ন করলুম। -- . i - y i.