পাতা:মোহন অম্‌নিবাস প্রথম খণ্ড.pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ֆ br মোহন অমনিবাস করিয়াছেন। কুমারী মাধুরী আপনার নাতনীর বয়সী। তাহাকে বিবাহ করা আপনার সাজে না। সুতরাং এই বিবাহের সংকল্প আপনি পরিত্যাগ করুন। . তথাপি আপনি যদি বিবাহের জন্য জিদ করেন তবে একটি সদ্য-প্রস্ফুটিত পুষ্পকোরকে আপনার কামনার মূলে আত্ম-বিসর্জন দিতে হইবে। সমাজ কিংবা আইন ইহার প্রতিবিধান করিতে পারে না। কিন্তু সৌভাগ্যবশতঃ আমি প্রচলিত আইনের গণ্ডির বাহিরে অবস্থান করি। একমাত্র বিবেকের নির্দেশই আমি পালন করিয়া থাকি—উহাই আমার আইন। আমার ইচ্ছা এবং আমার আদেশ সফল করিবার মত ক্ষমতাও আমি রাখি। আপনি আগামী ২০শে বৈশাখ রাত্রি সাড়ে দশটার লগ্নে মাধুরীকে বিবাহ করবেন স্থির করিয়াছেন। আমার আদেশ—উক্ত বিবাহ হইবে না। একটি কুমারীকে আপনার লালসার বেদীমূলে বিসর্জন দেওয়ার চাইতে মৃত্যুমুখী আপনাকে বিদায় দেওয়াই ন্যায়ানু-মোদিত হইবে— ইহাই আমি মনে করি। আমি যাহা উচিত মনে করি তাহা সম্পন্ন করাই আমার পক্ষে কর্তব্য। এই কর্তব্য-পথ হইতে কেহই আমাকে বিচু্যত করিতে পারে না—পরিবে না। সুতরাং অবিলম্বে যদি আপনি বিবাহের সংকল্প পরিত্যাগ না করেন, তবে আগামী ২০শে বৈশাখ ঠিক রাত্রি ৯ ঘটিকায় আপনার মৃত্যু অবধারিত—কাহারও ক্ষমতা নাই এই ব্যবস্থার কোন অন্যথা করে। ইতি—সমাজ-সেবক মোহন বিজন রায় প্রথম আচ্ছন্ন ভাবটা কাটিয়া যাইবার পর কহিল, “ শয়তানটার সাহস দেখেছেন ? সে কি ভেবেছে নিজেকে—আশ্চর্য!” চেনে না, তাই এমন পত্র লিখতে সাহস করেছে। প্রথমটা আমাকে যেন পক্ষাঘাতদুষ্ট করে তুলেছিল। দেখি পত্ৰখানা।” বিজন রায় পত্ৰখানি জমিদারের হাতে দিলে, তিনি পুনরায় পত্রটি পাঠ করিয়া কহিলেন, “এক কাজ কর, বিজন। তুমি এখনই পুলিস-সাহেবকে ডেকে নিয়ে এসেী বলবে যে আমি অসুস্থ, নইলে স্বয়ং যেতাম। পত্রের কথাও বলবে।” sেo আমি? তা’ হ’লে দসু্যুটার বড় সুবিধে হয়। না, বিশেয় সাবধান হতে হ’ল দেখছি।” (&) পুলিস সাহেব রাজ-বাড়ীতে অবিলম্বে ছুটিয়া আসিলেন এবং দসু মোহনের লিখিত পত্ৰখানি বিশেষভাবে পরীক্ষা করিতে লাগিলেন। বহুক্ষণ পরে কহিলেন, “চিঠিখানা যে মোহনের সে বিষয়ে আমার কোন সন্দেহ নেই। কারণ এই বিশেষ রকমের দামী চিঠির কাগজ একমাত্র সেই ব্যবহার করে।”