পাতা:মোহন অম্‌নিবাস প্রথম খণ্ড.pdf/১৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Տ Տ 8 মোহন অমনিবাস (8) কলিকাতা পার্ক স্ত্রীটে একটি সাততলা বৃহৎ অট্টালিকায় অফিসার ইন-চার্জের কক্ষ বাটীর দ্বারদেশ ব্যাপিয়া অবস্থিত। রাত্রি ১২টার সময় বাড়ির দ্বারা বন্ধ হইয়া যায়। এই বৃহৎ প্রাসাদের অসংখ্য কক্ষে বহু লোক পরিবারবর্গ লইয়া বাস করেন। সেদিন রাত্রি ৩টার সময় দ্বারদেশের ঘণ্টা ভীষণ শব্দে বাজিয়া উঠিয়া অফিসার ইনচার্জের নিদ্রা ভঙ্গ করিয়া জানাইয়া দিল, দ্বারে অতিথি উপস্থিত হইয়াছে। তাহার স্ত্রী কহিল, “রাত তিনটের সময় আবার কে বাইরে আছে? জ্বালাতন কোরে খেলে! রাত্রে মানুষ নিশ্চিন্ত হয়ে ঘুমুতেও পাবে না।” অফিসার ইন-চার্জ বিছানা ত্যাগ করিয়া কহিলেন, “হয়তো কেউ পীড়িত, ডাক্তার ডাকতে এসেছে।” তিনি দ্বার খুলিবামাত্র এক ব্যক্তি প্রবেশ করিয়া কহিল, “ডাক্তার ঘোষ আছেন?” “আছেন। কিন্তু তিনি রাত্রে কোথাও যাবেন না।” আগস্তুক কহিল, “না গেলে উপায় নেই আজ। অত্যন্ত গুরুতর অবস্থা।” বলিতে বলিতে সে উপরে উঠিতে লাগিল। ডাঃ ঘোষ বাড়ীর তৃতীয় তলায় বাস করেন। কিন্তু আগন্তুক তিনতলা পার হইয়া পঞ্চম তলায় উপস্থিত হইল ও পকেট হইতে চাবি বাহির করিয়া একটি তালাবদ্ধ কক্ষের তালায় লাগাইল ও খুলিয়া ফেলিল। তালা খুলিতেই আগন্তুক অস্ফুট কণ্ঠে আপনাকে যেন আপনি কহিল, “চমৎকার! কাজ অনেক এগিয়ে গেল। কিন্তু কাজে লাগবার পূর্বে পালাবার বন্দোবস্ত কোরে রাখা দরকার। আচ্ছা প্রথমে ভেবে দেখি, যদি আমি ডাক্তারকে ডাকতুম, আর তিনি ঘুম থেকে উঠে অস্বীকার কোরে আমাকে বিদায় কোরে দিতেন, তাতে যে সময় অতিবাহিত হতো, তা’ কি এখন হয়েছে? না, আর একটু অপেক্ষা করা দরকার।” আগস্তুক দশ মিনিট অপেক্ষা করিল। পরে নিম্নে অবতরণ করিয়া অফিসার ইনচার্জকে শুনাইয়া ডাক্তারকে নানা বিশেষণে অভিহিত করিয়া ক্রোধ প্রকাশ করিল এবং দেখিল, তাহার জন্য দ্বার খোলা রহিয়াছে। of যায়। আগন্তুক চাবির ছিদ্রে একটুকরা লোহা প্রবেশ করাইয়াদিয়াসশব্দে দ্বারা বন্ধ করিয়া দিল । - & অফিসরা-ইন-চার্জ তাহার কক্ষ হইতে দ্বার বন্ধের শব্দ শুনিয়া নিশ্চি স্ত মনে নিদ্রা যাইতে লাগিলেন। তিনি নিশ্চিন্তরূপে জানিতেন, দ্বার যখন বন্ধ হইয়াছে, তখন চাবিও পড়িয়া গিয়াছে। পনেরো মিনিট পরে আগন্তুক প্রত্যাবর্তন করিল। নিঃশব্দে দ্বার ঠেলিয়া ভিতরে প্রবেশ করিয়া পুনরায় ততোধিক ধীরে ধীরে দ্বার বন্ধ করিয়া দিল। তাহার আগমন অফিসার-ইনচার্জ জানিতে পারলেন না। আগন্তুক ভাবিল, যদি কেহ দেখিতে পায়, তাহা হইলে পলায়ন করিবার পথ তো মুক্ত রহিলই! - ! আগন্তুক শান্ত, নিঃশব্দ পদে সিড়ি বাহিয়া উপরে উঠিতে লাগিল। পঞ্চম-তলায়