পাতা:মোহন অম্‌নিবাস প্রথম খণ্ড.pdf/২০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

sの8 মোহন অমনিবাস | “কোন দুটাে? ডিটেকটিভ আগ্রহভরে জিজ্ঞাসা করিলেন। হরিচরণ নীরবে রহিল। “না, না। কিন্তু আমি এবার অনাহারে মরবো।” হরিচরণ হতাশ স্বরে কহিল। । “ও, তাই তুমি দ্বিধা করছ? বেশ, আমি তোমার ওপর সদয় হচ্ছি। বলো, তুমি চাও?” ডিটেকটিভ কহিলেন। ! “আমি বর্মীয় পালিয়ে যেতে চাই। আমার খরচ আপনাকে দিতে হবে।” হরিচরণ কহিল। ; “উত্তম, রাজী হলুম।” ডিটেকটিভ কহিলেন। “একশো কেন, পাঁচশো দেবো। তুমি হীরক-কষ্ঠি বার কোরে দাও।” ডিটেকটিভ কহিলেন। - হরিচরণ উঠিয়া গিয়া নর্দমার পাশে পাথর-বাঁধানো স্থানটি দেখাইয়া দিল। ...! তিনি ধীরে ধীরে পাথর দু’খানা তুলিয়া ফেলিলেন। কিন্তু হীরক-কষ্ঠি নাই। বিস্মিত দৃষ্টিতে চাহিয়া কহিলেন, “কৈ? এখানে নেই।” হরিচরণ কহিল, “আছে। মাটি খুঁড়ে দেখুন।” ভূতপূর্ব ডিটেকটিভ অতি সতর্কতার সহিত সেই মহামূল্য বস্তু পকেটস্থ করিয়া ও পাঁচশো টাকা। কাল সকালেই রেঙ্গুনের মেল-জাহাজ ছাড়বে। আউটরাম ঘাটে কেটে এখান থেকে পালাও ” : হরিচরণ কম্পিত হস্তে নোট কয়খনি লইয়া দ্রুতপদে রাস্তায় নামিয়া জনারণ্যে অদৃশ্য বাসনা পূর্ণ হ’ল। এবার তুমি এই হীরক-কষ্ঠি দিয়ে তোমার স্বপ্ন-রাণীর কণ্ঠদেশ সুশোভিত; করতে পারবে। এই মহামূল্য বস্তু কি জমিদার-পত্নীর কষ্ঠের যোগ্য? এইবার হীরক-কষ্ঠির জন্ম সার্থক হবে। i i “রমা! সেদিন অপ্রত্যাশিতভাবে রমার মনোভাব জানতে পেরেছি। আমার মত একটা; হীন দস্যকে রমার মত স্বর্গের দেবী যে এতখানি ভালবাসতে পারে, তা কি কোনদিন মোহন, তুমি স্বপ্নে ভেবেছিলে ? তোমার দুরাশা এইবার সফল হ’লেও হতে পারে। এতদিন তুমি অন্ধকারে ছিলে, সর্বদা শঙ্কায় অভিভূত হয়ে থাকতে, যেদিন থেকে কুমার নরনারায়ণের প্রাসাদে রমার অনুরাগের প্রকাশ জানতে পারলে, সেইদিন থেকেই তুমি j