পাতা:মোহন অম্‌নিবাস প্রথম খণ্ড.pdf/২০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sob- মোহন অমনিবাস তারপর তিনি ভিতরে চলে গেলেন। স্যার ভৌমিকের ধনের খ্যাতি কলিকাতা শৌখিন । সমাজে প্রচুর। তিনি না-কি কোটিপতি ব্যক্তি। আমি অত্যন্ত খুশি মনে চলে এলুম। আমার নিজ তৈরি প্ল্যান এতখানি সফল হবে ভেবে আনন্দ আর মনে ধরতে চাইছিল না। হবে এবং মোহনকে পুলিসের হাতে দিতে যাওয়ার দুঃসাহসেরও প্রায়শ্চিত্ত হবে। সেদিন সন্ধ্যার সময় দরিদ্রের মত বেশভুষা কোরে আমি পথে বার হয়ে পড়লুম। : গতরাত্রে যে সহকর্মী স্যার ভৌমিককে আক্রমণ করেছিল, সে পথে আমার অপেক্ষা । করছিল। বললুম, আমি খুব খুশি হয়েছি তোমার কাজে। এই নাও তোমার পুরস্কার।’ । বড়ো পুরস্কার।’ সহকর্মীকে পুরস্কৃত কোরে একটা ট্রামে উঠে বসলুম। ভাবতে লাগলুম, “স্যার ভৌমিকের যে ধন-যশ, তার দশ ভাগের এক ভাগও যদি সত্য হয়, তবে মোহনের পরিশ্রম সার্থক হতে পারে; কিন্তু যেমন অন্যান্য অনেক ধনী লোকের ভিতরটা ঝরঝরে ফাপা হয়েও হন—তাহলে? কিন্তু কাজে একবার নেমে দ্বিধ করা বা পিছিয়ে যাওয়া দসু মােহনের কুষ্ঠিতে { লেখেনি। সুতরাং কয়েক মিনিট পরে স্যার হরিপ্রসঙ্কের ফটকে উপস্থিত হলুম এবং : ভিতরে আমার নাম লেখা কার্ড অর্থাৎ বিকাশ মিত্রের কার্ড পাঠিয়ে দিলুম। তৎক্ষণাৎ আহ্বান এলো। ভূত্য আমাকে নিয়ে দ্বিতলে এক অতি সুরুচিভাবে সুসজ্জিত o ড্রইংরুমে প্রবেশ করলে। সেখান স্যার ও লেডী ভৌমিক অপেক্ষা করছিলেন; আমাকে দেকে এক প্রস্থ শেকহ্যাণ্ড কোরে ও কয়েক প্রস্থ ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানিয়ে লেভী বললেন, ‘আজ আমার স্বামীর প্রাণ-দাতাকে আমাদের সাধ্যমত সমাদর করবার জন্য কোন লেভী এই কথাই বলতে চাইলেন যে, অন্য ব্যক্তিকে নিমন্ত্রণ করলে আমার ওপর অখণ্ড মনোযোগ দেবার অবসর তারা পাবেন না, এই ভেবেই তা করেননি। যাই হোক, খাবার আয়োজন উত্তমরূপেই হয়েছিল। আহারাদির পর বাগানে বসে লেভী ভৌমিক পেয়েছি। কিন্তু উইল নিয়ে মামলা বেধেছিল, অবশ্য আমারই জয় হয়েছে। তা হলেও নানারকম খুঁটিনাটির জন্য এখন পর্যন্ত উইল প্রোবেট নিতে পারছি না। উনি বলেন যে খুব জোর আর পাঁচ ছটা মাস, তারপরেই সব বাধা বিপত্তি দূর হয়ে যাবে। এই তো গেল আমার দিকের কথা। ওদিকে স্যার ভৌমিকের প্রায় কোটি টাকা শেয়ারে লাগানো রয়েছে। সব ভাল ভাল কোম্পানীর শেয়ার। যুদ্ধ লাগবে—এই আশায় উনি শেয়ার এখন ছাড়তে চাইছেন না...বলেন, টাকা ধার কোরে তা’ যত চড়া সুদের হোক না কেন, এখন চলা ভাল। তারপর একবার যুদ্ধ লাগলে আর আমাদের পায় কে? তখন কোটি টাকার শেয়ার