পাতা:মোহন অম্‌নিবাস প্রথম খণ্ড.pdf/২০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ミ> o মোহন অমনিবাস ཀ། সুতরাং আমি আমার অফিস ও শয়ন-কক্ষের মেঝের উপর কয়েকদিন ধরে পরিশ্রম কোরে এক সুন্দর ছিদ্র তৈরি করলুম। সেই ছিদ্র দিয়ে নীচের অফিস-ঘরখানি বেশ পরিষ্কাররূপে দেখতে পেতুম। তখন থেকে আমার একমাত্র কাজ হ’ল, মেঝের ওপর উপুড় হয়ে শুয়ে অফিস-ঘরের ভিতর দৃষ্টি রাখা আর কান খাড়া কোরে কথাবার্তা শোনা। আমি প্রত্যহ দিন রাত্রি দেখতে লাগলুম। স্যার ভৌমিক সিন্দুক থেকে বড়ো বড়ো ফাইল বার কোরে দলিলপত্র ও শেয়ার সার্টিফিকেটগুলি নাড়া চাড়া করেন, কখনও বা হিসাব করেন, কখনও বা একটা শেয়ারের তাড়া বগলে কোরে অফিস থেকে বার হয়ে যান। রাত্রে প্রায়ই লেডী ভৌমিক এসে স্বামীর সঙ্গে ভবিষ্যৎ সুখের দিনের আলোচনা করেন। আমি শুনি আর শুনি, দেখি আর দেখি! - একদিন দেখলুম, স্যার ভৌমিক সিন্দুক খোলা রেখেই অফিস-ঘর থেকে দ্রুতপদে বার হয়ে গেলেন। আমি এক লম্ফে খাড়া হয়ে তিন লাফে সিড়ি পার হয়ে অফিস ঘরে প্রবেশ করলুম। সঙ্গে সঙ্গে স্যার ও লেডী ভৌমিক পাশের ঘর থেকে ফিরে এলেন। আমি বিন্দুমাত্র অপ্রতিভ না হয়ে বললুম, “আমাকে ক্ষমা করবেন। ভুলক্রমে এ ঘরে এসেছিলুম।” - “আসুন বিকাশবাবু, আসুন।” লেভী ভৌমিক সাগ্রহে বললেন, “আপনার অমন কিন্তু হবার প্রয়োজন কী? এই বাড়ী আপনার বাড়ীই মনে করুন না কেন! আপনার পরামর্শ আমরা চাই। আচ্ছ, কোন শেয়ার আগে বিক্রি করা ভালো—বিদেশী শেয়ার, না দেশী শেয়ার?” - আমি বিস্মিত হয়ে বললুম, “যুদ্ধ কি লেগেছে?” লেভী ভৌমিক হেসে বললেন, “যুদ্ধের জন্য আর অপেক্ষা করা চলে না। এখন কি ছেড়ে দেওয়াই যুক্তিযুক্ত ভাবছি।” - : আমি বললুম, “কিন্তু ইনজাংশন হয়েছিল যে?” “সে সব মিটে গেছে। এখন আমরা যা’ খুশি তাই করতে পারি।” লেড়ী হাসতে হাসতে বললেন। వీ ಫ್ಲಿಫ್ಟಿ; ভৌমিক বাধা দিয়ে বললেন, “না, না, বিদেশী শেয়ার এখন বিক্রি করা পাগলামি হবে। কারণ শেয়ারের দর হু হু কোরে বেড়ে যাচ্ছে। তারপর দেশী শৈয়ারও প্রতিদিন বেড়ে চলেছে। আচ্ছা, আপনি কি পরামর্শ দেন, মিঃ মিত্র?” : o কিন্তু মিত্রের কোন অভিমতই ছিল না। কারণ সে নিজেই সেগুলি সব বিক্রি কর মনস্থ কোরে অপেক্ষা করছে। যাই হোক, আমি বললুম, “এখন দেশী শেয়ার বিক্রয় কা ভাল।” অপরাহুে স্যার ভৌমিক আমাকে সঙ্গে নিয়ে কতকগুলি দেশী শেয়ার প্রায় ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি কোরে এলেন। সেইদিন থেকে আমার রাত্রের ঘুম, দিনের আহার কমে গেল। ভাবতে লাগলুম আর দেরি করা উচিত হবে না, এখন থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কাজ করতে হবে। কিন্তু একটা বিষয়ে আশ্চর্য হলুম। আমি যে দু’মাসের ওপর চাকরি করছি, বাড়ীতে