পাতা:মোহন অম্‌নিবাস প্রথম খণ্ড.pdf/২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՀՀ মোহন অমনিবাস “আমি যে বলতে পারি, এমন সন্দেহ আপনার হয় কি, বাবু?” বিজন রায় স্নান স্বরে প্রশ্ন করিল। নীলরতনবাবু কহিলেন, “না হওয়াই কর্তব্য ! কিন্তু কথা যে বার হয়েছে তাতে যখন ভুল নেই, তখন আমার বিশ্বাস, তুমি কোন বন্ধু-বান্ধবের কাছে গল্প করেছ, আর তারাই একথা প্রকাশ কোরে দিয়েছে।” বিজন রায় দুঃখিত স্বরে কহিল, “এক্ষেত্রে আপনার চাকরি ত্যাগ করাই আমার পক্ষে শ্রেয়। কারণ প্রভুর বিশ্বাসভাজন না হয়ে এ পদে বসে থাকার কোন অর্থ নেই। সুতরাং বৃদ্ধ জমিদার তপ্ত স্বরে কহিলেন, “আর যৌবনের অহঙ্কার দেখাতে হবে না। খুব হয়েছে। এখন পুলিসের কি সংবাদ বল ?” বিজন রায় কহিল, “প্রথমে বলুন, আপনি আমাকে অবিশ্বাস করেন নি, বাবু?” “না হে, না। তোমাকে যেদিন অবিশ্বাস করবো, সেদিন একটা মিনিটের জন্যেও তোমার চাকরির মেয়াদ বাড়বে না, জেনে রেখো। বাজে কথা ছাড়ো। আমি বুঝেছি, এ কাজ সেই বেটা মোহনেরই! সে অত্যন্ত যশ-প্রিয়! সেই বাজারে এ কথা প্রকাশ করেছে। তা’ এক রকম ভালই হয়েছে। এখন বলো, পুলিস-সাহেব কি বললেন?” বিজন রায় খুশি মনে কহিল, “তিনি কলিকাতায় যে তার পাঠিয়েছিলেন, সে তারের জবাব এসেছে। পুলিসের বড় সাহেব বিস্তৃত বিবরণ ও মোহনের পত্ৰখানা দেখতে চেয়েছেন। তারপর যথা বন্দোবস্ত করবার আদেশ দেবেন।” নীলরতনবাবু কহিলেন, “ভাল কথা। এখন শোন তুমি। দুজন সেপাই পাহারায় লেগেছে তো?” বিজন রায় কহিল, “হ্যা।” “আমার কিছু দারোয়ান বৃদ্ধি করো। তাদের কাজ হবে রাস্তায় রাস্তায় টহল দিয়ে বেড়ানো। আর যেখানে লোক জমায়েৎ দেখবে বা এই বিষয়ে সভা-সমিতি হচ্ছে পাবে, সেখানেই জোর করে তা’ ভেঙ্গে দেবে।” షో বিজন রায় কহিল, “তাতে গণ্ডগোল বাড়বে ভিন্ন কমবে না। তার চেয়ে শুভকাজ শেষ হয়ে গেলে দলের সর্দারদের ধরে এনে বেশ করে শিক্ষা দিলেই হবে। এখন কোন হৈ-চৈ করা মানেই হচ্ছে,দসু মোহন সত্যিই যদি ওদের সাহায্য করতে আসে, তার শক্তি বৃদ্ধি করা।” & জমিদার বিস্মিত স্বরে কহিলেন, “তুমি কি বিশ্বাস করো, মোহন এই গ্রামের ঐ লোকগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেছে?” “তাতে আর সন্দেহ আছে, বাবু? নইলে কত দেশে কত ব্যাপার হচ্ছে, সে সব দেশে কিছু না করে বীণানগরের জন্যই তার এই মাথা-ব্যথা কেন? আজ খবর পেলুম, যে ছোড়াটা আশুবাবুকে কাকা’ সম্বোধন কোরে তার বাড়ির মেয়েদের সঙ্গে পরিচয় করেছিল, সে হঠাৎ কলকাতা থেকে বাড়ীতে এসেছে।” বিজন রায় নিবেদন করিল। বৃদ্ধ নীলরতনের মুখ হিংসা, সন্দেহ, দ্বেষের আভাসে ভীষণাকৃতি ধারণ করিল,কহিলেন, “ঐ ছোড়াটাকে খুন করলেও আমার মনের দুঃখ যাবে না। এক কাজ কর, বিজন, তুমি ~&