পাতা:মোহন অম্‌নিবাস প্রথম খণ্ড.pdf/২১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

こ > S মোহন অমনিবাস আমি এখন কোটি টাকার মালিক! আনন্দে বুক চাপড়ে বললুম, “মোহন। এখন তুমি নিশ্চিন্ত হয়ে দান-ধ্যান করতে পারো। যা খুশি করতে পারো। এমন কী, তোমার প্রিয়তমাকে নিয়ে পৃথিবী ভ্রমণে যাত্রা করতে পারো। তখন মোটর ছুটছে। রাত্রির শীতল বাতাস আমার তপ্ত মস্তিষ্ককে স্নেহ-স্পশে শীতল কোরে আনছিল। সেদিন রাত্রে বন্ধু অমরের আতিথ্য স্বীকার করিয়া দসু মোহন উপরোক্ত কাহিনী বর্ণনা করিতেছিল। সে সহসা চেয়ার ছাড়িয়া ঘরময় পায়চারি করিয়া ফিরিতে লাগিল। অমর হৃষ্টস্বরে বলিল, “তা হলে স্যার ভৌমিকের মিলিয়ন লুট কোরে সত্যিকার প্রতিহিংসা নিয়েছেন, দাদা ?” মোহন আমরের কথার জবাব না দিয়া বলিল, “কিন্তু একটা বিষয় এখনও পরিষ্কার হয়নি—কেন তারা আমাকে সেক্রেটারী নিযুক্ত কোরেও কাজ করতে দেয়নি বা কোন লোকের কাছে আমার নাম বা পরিচয় পর্যন্ত প্রকাশ করেনি।” অমর কহিল, “তাতে আর আপনার দুঃখ করবার কি আছে? আপনার কাজ তো সফল হয়েছে?” মোহন তীব্র স্বরে বলিল, “কিন্তু সত্য কি জানো, অমর ?” “না থাক।” মোহন পায়চারি করিয়া ফিরিতে লাগিল। অমর প্রশ্ন করিল, “আপনার সঙ্গে স্যার ভৌমিকের আর সাক্ষাৎ হয়নি?” মোহন কহিল, “না।” “আচ্ছা, ঐ হতভাগ্য দম্পতির জন্য আপনার মনে কোন অনুতাপ হয়নি—তাদের যথাসর্বস্ব লুট কোরে, পথের ভিখারী করে?” “আমার অনুতাপ হবে? মোহন সহসা চিৎকার শব্দে কহিল। মোহনের উত্তেজিত কণ্ঠস্বরে অমর বিস্মিত হইয়া কহিল, “আপনিই ত তাদের সর্বনাশ করলেন, দাদা।” ざ* “তুমি আমাকে তাদের জন্য দুঃখ প্রকাশ করতে বলছ তো?” মোহন জিজ্ঞাসা করিল। “হ্যা, তাই এক রকম বই কি?” অমর কহিল। (് -, তোমার মতে আমার দুঃখ প্রকাশ করা উচিত?” (స్ట్లో অমর কহিল, “দুঃখও বলতে পারেন, অনুতাপ কি বিবেকের দংশন—যে নামেই অভিহিত করুন না কেন, সে কথায় বলছি। কারণ সে দম্পতির আপনি যথাসর্বস্ব লুণ্ঠন করেছেন, তাদের পথের ভিখারী করেছেন, সমস্ত সম্পদ হরণ করেছেন।” - অমর কহিল, “কেন, ঐ সব কোটি টাকা মূল্যের শেয়ার সার্টিফিকেট, ডিবেঞ্চার বণ্ড– যা আপনি বললেন ?” মোহন হা হা শব্দে হাস্য করিতে লাগিল। হাসির বেগে তাহার চক্ষুতে বেদনার চিহ্ন পরিস্ফুট হইয়া উঠিল। হাসি থামিলে কহিল, “ভগবান স্যার ও লেডী ভৌমিককে দীর্ঘজীবী